বাংলাদেশ সবশেষ গোলের দেখা পায় গত জুনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আফগানিস্তান ম্যাচে। তপুর সেই গোলের পর সব মিলে চার ম্যাচ খেলেছে জাতীয় ফুটবল দল। পরের গোলটি পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩২৯ মিনিট!
সবশেষ কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সুফিলের গোলে এই খরার অবসান ঘটেছে লাল-সবুজদের।
বিশকেকে মঙ্গলবার কিরগিজদের কাছে ৪-১ ব্যবধানে হারের ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে একমাত্র গোলটি আসে মাহবুবুর রহমান সুফিলের পা থেকে।
দল যখন ৩-০ গোলে পিছিয়ে, ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে গোলটি করে ব্যবধান কমান সুফিল। এতে অবশ্য ব্যবধান কমেছে ঠিকই কিন্তু হার এড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
তার ক্যারিয়ারের এই পঞ্চম গোলটি গোল খরা দূর করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর ভারত, ওমান ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে গোল করা সম্ভব হয়নি জামাল ভূঁইয়াদের।
শেষে বিশকেকে এসে সময়ের হিসেবে ৩২৯ মিনিট পর বা ৫ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট পর গোল দেখল বাংলাদেশ।
সাফের প্রস্তুতি হিসেবে কিরগিজস্তান সফরে প্রতিপক্ষের র্যাঙ্কিং বিবেচনায় রেখে যোজন এগিয়ে থাকা স্বাগতিকদের বিপক্ষে এই গোল নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বাংলাদেশকে।কেননা আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফরোয়ার্ডদের গোলখরার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো সুফিলের গোলে।
কিরগিজস্তানের বিপক্ষে বল দখলের লড়াইয়ে সুফিল। ছবি: বাফুফে
যদি শুধু ফরোয়ার্ডদের গোলের হিসেব দেখা যায় তাহলে গত বছরের নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে জয়ে গোল করেছিলেন সুফিল ও নবীব নেওয়াজ জীবন।
এরপরে ছয় ম্যাচে কোনো ফরোয়ার্ড গোলের দেখা পায়নি। মাঝে ছয় ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র গোলটি এসেছে ডিফেন্ডার তপুর পা থেকে।
অতীত হিসেবে রেখে বলার অপেক্ষা রাখে না এই যে, কিরগিজস্তান ম্যাচে সুফিলের গোল সাফ ফুটবলে বাংলাদেশের জন্যও একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাতে পারে।
এর আগেও গোলের দেখা পেয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। বিশকেকে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ এর বিপক্ষে খেলবেন সুফিল-মতিন-রাকিবরা।