কিরগিজস্তানে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ শেষে এক গোলে পিছিয়ে আছে জেমি ডের বাহিনী।
ফিলিস্তিনিদের রুখে দিতে এবার একেবারে নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
পাঁচ বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে নামে ডিফেন্ডার রেজাউল করিম রেজা। ইনজুরি থেকে সেরে মাঠে ফেরেন মিডফিল্ডার সাদ ও সোহেল। গোলকিপিংয়ে জিকোর জায়গায় সুযোগ পান শহীদুল আলম।
আর ফরমেশন ও কৌশলে বদলের আভাস পাওয়া যায় ফরমেশনে। ৩-২-৪-১ ফরমেশনে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কৌশল সাজান জেমি।
ম্যাচের শুরুতে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য পেলেও ধীরে ধীরে বল দখল হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ।
প্রথমদিকে এক কর্নার ছাড়া সেভাবে কোনো আক্রমণই গোছাতে দেখা যায়নি বাংলাদেশকে।
অগোছাল ফুটবলের ফায়দা নিয়ে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে লিড নেয় ফিলিস্তিন। ফরোয়ার্ডকে লক্ষ্য করে বাড়িয়ে দেয়া পাস বুঝতে ভুল করেন বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার। বলটা মাটিতে পড়ে ডি-বক্সের ভেতরে ঢোকার সময় এগিয়ে আসা গোলকিপার সোহেলের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন মাহমুদ ইদ। জালে ঢোকার আগে বলটা ক্লিয়ার করার আগে ট্যাপ ইন করে গোল করেন লায়েথ খারুব।
এরপরে কিছুটা ফেরার চেষ্টা দেখা বাংলাদেশের। বেশি সুযোগ তৈরি করে ফিলিস্তিনই। ম্যাচে ৩৭ মিনিটে কর্নার থেকে সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি জামাল ভূঁইয়াদের। উল্টো তার পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে আরেকবার পেছাতে পারত বাংলাদেশ।
ফিলিস্তিনের গোলমুখী দারুণ একটা হেড ঠেকিয়ে দেন গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেল। ম্যাচের ৪২ মিনিটে প্রতিপক্ষের আরেক সুযোগ কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন সোহেল।
ম্যাচের ৪৪ মিনিটে প্রথমবার সমতায় আসার ভালো সুযোগ তৈরি হয় বাংলাদেশের।
বাম প্রান্ত থেকে বলটা ডি-বক্সের ভেতরে ফেলেন রাকিব হোসেন। সিক্স ইয়ার্ডের সামনে বলটা পড়ার সময় ছুটে আসা মতিন মেয়া শট নেয়ার আগেই গ্লাভসবন্দী করেন ফিলিস্তিনের গোলকিপার তৌফিক আবু হামাদ।
এক গোলের অস্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় জেমির বাহিনী।বাংলাদেশের মূল একাদশ:গোলকিপার: শহীদুল আলম সোহেল। ডিফেন্ডার: রেজা, তপু, ইয়াসিন, বিশ্বনাথ, তারিক। মিডফিল্ডার: জামাল, সোহেল, সাদ, রাকিব। আক্রমণভাগ: মতিন মিয়া।