দুই বছরের বেশি সময় ধরে মাঠে নেই বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। সামনের মাসে এশিয়ান কাপ টুর্নামেন্ট অপেক্ষা করছে সাবিনা-কৃষ্ণাদের সামনে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ থেকে র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা জর্ডান ও ইরানের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ উপহার দিতে চায় দলের কোচ-খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশের বাছাইপর্বের খেলা হবে উজবেকিস্তানে। গ্রুপ-জিতে সাবিনা-কৃষ্ণাদের প্রতিপক্ষ জর্ডান ও ইরান। র্যাঙ্কিংয়ে ১৩৭ তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ জর্ডান রয়েছে ৫৯ তম অবস্থানে ও ইরান ৭০-এ।
লিগ শেষ হওয়ার পর থেকেই অনুশীলন করছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। এবার তাদেরকে নিয়ে লক্ষ্যের কথা বলেন গোলাম রাব্বানী ছোটন। বলেন, ‘লিগ শেষে ক্যাম্পে চলে আসে মেয়েরা। কঠোর অনুশীলন করছে তারা। একটা ভালো পজিশনেই আছে ওরা।’
১৯ সেপ্টেম্বর জর্ডানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ। ২২ সেপ্টেম্বর গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ খেলবে ইরানের বিপক্ষে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দেয়ার আশ্বাস ছোটনের। বলেন, ‘দুইটা দলই শক্তিশালী, র্যাঙ্কিং ও শক্তিমত্তার দিক থেকে দুই দলই এগিয়ে আছে। তবে, আমাদের মেয়েরা বয়সভিত্তিক দল থেকে একসঙ্গে আছে। আশা করি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলা উপহার দিতে পারব।’
বাছাইপর্বের প্রস্তুতির জন্য নেপালে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে জাতীয় নারী ফুটবল দল। ৯ ও ১২ সেপ্টেম্বর ম্যাচ দুটি খেলা হবে।
বাছাইপর্বে নামার পূর্বে নেপাল সফর আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলে মনে করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বলেন, ‘যে অভিজ্ঞতাটা হবে নেপালে, সেটা আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। অবস্থানটা দেখে যেতে পারব আমরা আসলে কোথায় আছি।’
৬ সেপ্টেম্বর নেপাল যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এএফসির ২৮টি দল ৮টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বাছাইয়ে পর্বে অংশ নেবে।
বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষ ৮ দল চূড়ান্তপর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। চ্যাম্পিয়ন জাপান, রানার আপ অস্ট্রেলিয়া ও তৃতীয় হওয়া চীনসহ আয়োজক দেশ ভারত সরাসরি খেলবে চূড়ান্ত পর্বে। বাকি আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে চূড়ান্ত পর্বে।