একটা সময় ছিল তামিম-মুশফিক-মাশরাফি ছাড়া কল্পনা করা যেত না বাংলাদেশ জাতীয় দল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এসেছে পরিবর্তন। বর্তমান দলে রয়েছেন অনেক বিকল্প ক্রিকেটার। খেলোয়াড় নির্বাচনে মধুর সংকটে পড়তে হচ্ছে বোর্ডকে।
জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতে ওপেনার থেকে শুরু করে অলরাউন্ডার, উইকেটকিপার, স্পিনার, পেইসার কোনোটার কমতি নেই দলে। সবার রয়েছে বিকল্প।
ওপেনার, বোলার, অলরাউন্ডারের বিকল্প থাকলেও, দলে নেই ফিনিশার। শর্টার ভার্সনে যেটা আবশ্যক সেই স্পেশালিস্ট ফিনিশার নেই কেউ। এমন কেউ নেই যিনি কঠিন অবস্থায় ম্যাচ চলে গেলে, সেখান থেকে ওভারে ৮-১০ রান তাড়া করে দলকে বের করে আনবেন।
এক সময় ফিনিশার হিসেবে চেষ্টা করা হয় নাসির হোসেনকে। সেই ধারাবাহিকতায় আসেন সাব্বির রহমান। কেউই টিকতে পারেননি।
এই দুজনের পর এখন পর্যন্ত কোনো ন্যাচারাল ফিনিশার খুঁজে পায়নি বিসিবি। অনেকেই হুট করে এসে এক দুই ম্যাচে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেছেন। মাহমুদুল্লাহ, সাইফুদ্দিন, মোসাদ্দেক, আফিফ, সৌম্য তালিকাটা একেবারে ছোট নয়। ওই পজিশনে ধারাবাহিক হতে পারেননি কেউ।
গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও দল গেছে এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে। ব্যাটিং বিপর্যয়, সেই মুহূর্তে ভরসা করার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, যে কিনা শেষ করে আসবে ইনিংস।
সিরিজে ৫,৬,৭ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যানদের বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এক আফিফ বাদে ৫ ম্যাচে নিয়মিত হাসেনি কারও ব্যাট। আফিফের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩৭ রান; দ্বিতীয় ম্যাচে। বাকি ম্যাচগুলোতে ৩০ ছুঁতে পারেননি। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশের ৫ ম্যাচে গড়ে রান আসে প্রায় ৩৩ করে।
তবে কি জাতীয় দলের থিংক ট্যাঙ্ক ফিনিশার নিয়ে চিন্তা করছে না? নাকি এখন যে অবস্থায় রয়েছে দল সেটিতেই স্বস্তিতে সবাই?ফিনিশার ছাড়া ঘরের মাটিতে সিরিজ পার পেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের বিশ্ব মঞ্চে যেখানে ৫ ওভারে নিয়মিত দরকার পড়বে ৭০-৮০ রান, সেখানে ফিনিশার তৈরি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য খুব বেশি সময় পাচ্ছে না বিসিবি।