জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়াকে টানা দুই সিরিজে নাস্তানাবুদ করার পর আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় আছে বাংলাদেশ। তার ওপর নিউজিল্যান্ড এবারের সিরিজে পাঠিয়েছে নিজেদের বিকল্প দলকে। যাদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলা অভিজ্ঞতার পাশাপাশি উপমহাদেশে খেলার অভিজ্ঞতাও খুব একটা নেই।নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লেইথামের মতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটা সহজ হচ্ছে না ও অচেনা কন্ডিশনে তারা ব্যাকফুটে থেকেই নামছে।এত কিছুর পরও অতি-আত্মবিশ্বাসী নন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নিউজিল্যান্ডের অনভিজ্ঞ দলের বিপক্ষেও সতর্ক থাকতে চান টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।ম্যাচের আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ জানালেন এমনটাই।তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ওভার কনফিডেন্ট হলে বিষয়টা নেতিবাচক হয়ে যাবে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা এমন যে নির্দিষ্ট দিনে উইকেট বিচার করে আপনাকে ভালো খেলতে হবে। ওরা যে দল নিয়ে আসছে ওইটা খুবই গোছানো। ভালো একটা দল। নিজেদের হোমওয়ার্ক তারা দারুণ করে। প্রথম বল থেকে আমাদের পজিটিভ খেলার মানসিকতা থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যে ক্ষুধা ছিল সেটা ও জয়ের ধারাবাহিকতা আমাদের ধরে রাখা উচিত।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ দলের সদস্যরা। ছবি: সাইফুল ইসলাম
বাংলাদেশকে নিজ মুখে ফেভারিট না বললেও ভক্তরা মুখিয়ে আছে আরেকটি সিরিজ জয় দেখার। বিশেষ করে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে বাংলাদেশ চলে আসতে পারে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা পাঁচে। তাই প্রত্যাশাটা এবার সাকিব-মুশফিকদের কাছ থেকে বেশ উঁচু।অধিনায়ক অবশ্য প্রত্যাশার চাপ নিচ্ছেন না। নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে মাঠে সেরাটা দিতে প্রস্তুত দল এমনটা জানালেন তিনি।রিয়াদ বলেন, প্রত্যাশা সব সময়ই থাকবে। আমরা নিজের মাঠে যেকোনো দলের সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করতে পারব। নিজেদের কন্ডিশন ব্যবহার করে নিজেদের পক্ষে ফলটা আনার চেষ্টা থাকে আমাদের। ম্যাচে যে সুযোগগুলো পাব সেগুলো কাজে লাগানো জরুরি।’ম্যাচ শুরুর আগে ওপেনিং ও কিপিং নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হচ্ছে ম্যানেজমেন্টকে। লিটন দাস দলে ফেরায় কার্যত স্কোয়াডে এখন চারজন ওপেনার। লিটনের সঙ্গে সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ ও মাহেদী হাসানও ওপেন করতে পারেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত ম্যাচ ডের জন্য রেখে দিতে চান মাহমুদুল্লাহ।বলেন, ‘আমাদের চিন্তা আসলে যেই খেলুক সে যেন দলের জন্য অবদান রাখে। দলে ভালো একটা ইতিবাচক প্রতিযোগিতা আছে। সবাই এটা উপভোগ করছে।’একই রকম প্রতিযোগিতা বোলারদের নিয়েও। সাকিব ও মুস্তাফিজের সঙ্গে পেইস ও স্পিন বিভাগে যেন জায়গা পাওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি! অধিনায়ক দারুণ খুশি এই মধুর সমস্যায়।তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং-বোলিং সবগুলো বিভাগেই প্রতিযোগিতা আছে। ফিল্ডিংয়েও উন্নতি হয়েছে। ভালো দল হওয়ার পথে এগুলো জরুরি দিক। র্যাঙ্কিং সব সময়ই দলের আসল চেহারাটা প্রকাশ করে না। ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে নিশ্চিতভাবে উন্নতি করা সম্ভব।’সোমবার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়ে দেন যে দলে তিনজন উইকেটকিপার থাকায় দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। নুরুল হাসান প্রথম দুই ম্যাচে থাকছেন। পরের দুই ম্যাচে মুশফিক।রিয়াদ জানালেন এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন দুই ক্রিকেটার।বলেন, ‘মুশফিক একজন টিম ম্যান। দারুণ একজন সতীর্থ। সোহানের সঙ্গে কিপিংয়ের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে তার সমস্যা নেই। সোহানেরও নেই। সোহান ভালো কিপার। তাই দুইজনের ওয়ার্কলোড ভাগ করে নিলে দলের জন্যই ভালো হবে।’টস ও কন্ডিশন বিবেচনায় বাংলাদেশ একাদশ নির্বাচন করবে এমনটা আভাস দিলেন অধিনায়ক। ম্যাচ শুরু হচ্ছে বুধবার বিকেল ৪টায়।