বাংলাদেশের দাবা অঙ্গনের অনেকগুলো আক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশে আসছে না নতুন কোনো গ্র্যান্ডমাস্টার। পাঁচজন গ্র্যান্ডমাস্টারের মধ্যে সবশেষ ২০০৮ সালে জিএম নর্ম পান এনামুল হোসেন রাজীব। তারপর কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়সেই আক্ষেপ দূর করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন এবং সাউথ এশিয়ান দাবা কাউন্সিলের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ।
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই প্রত্যাশা করেন সভাপতি। রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত হয় এই দাবার প্রতিযোগিতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুই জন আন্তর্জাতিক মাস্টার পেয়েছি। করোনা না থাকলে হয়তো আইএম সংখ্যা আরও বাড়ত। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট করা। আশা করছি আগামী ৩-৫ বছরে নতুন গ্র্যান্ডমাস্টার পাওয়া যাবে।’
সাইফ পাওয়ার টেকের পৃষ্ঠপোষকতায় এই আসর শুরু হয় শুক্রবার। আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্ল্যাটফর্ম টোরনেলোতে হয় টুর্নামেন্টের খেলা। তিনদিনের সুইস লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্ট শেষ হয় রোববার। সোমবার ছিল এর পুরস্কার বিতরণী।
টুর্নামেন্টে চীনের গ্র্যান্ডমাস্টার লি ডি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ৯ খেলায় ৮ পয়েন্ট পেয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন তিনি। ৭.৫ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের গ্র্যান্ডমাস্টার অভিমন্যু পৌরনিক রানার-আপ হন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম হয়েছেন গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার। ৫.৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব দ্বিতীয় ও আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান তৃতীয় হয়েছেন।৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান চতুর্থ ও ৫ পয়েন্ট করে নিয়ে ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া পঞ্চম ও শওকত হোসেন পল্লব ষষ্ঠ স্থান লাভ করেন।