নিউজিল্যান্ডের উঠতি ফাস্ট বোলারদের মধ্যে অন্যতম বেন সিয়ার্স। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে গতি দিয়ে নজর কেড়েছেন সবার।নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে গতির ঝড় তোলা এই পেইসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের উইকেটে অবশ্য শুধু বুনো গতি দিয়ে তেমন একটা ফায়দা হবার কথা না সিয়ার্সের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়া এই পেইসার নিজেও জানেন মিরপুরের উইকেটে গতির চেয়ে বলে ভ্যারিয়েশন বেশি কার্যকরী হবে।
১৪০ কিলোমিটার গতির চেয়ে জোরে বল করার পাশাপাশি স্লোয়ার, কাটার ও মিশ্র ডেলিভারিগুলো কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেটা নিয়ে ভাবছেন এই ২৩ বছর বয়সী। সোমবার সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানান সিয়ার্স।
তিনি বলেন, ‘জোরে বল করার চেষ্টা তো থাকবেই। তবে উইকেট এখানে ভিন্ন। এখানে আরও স্মার্ট হতে হবে। নেটে কখনও কখনও মনে হচ্ছে, ফাস্ট ডেলিভারিগুলো মার খাচ্ছে বেশি। এখানে বুঝতে হবে, কখন কোন ডেলিভারি করতে হবে। বৈচিত্র্য ধরে রাখতে হবে। অফ কাটার এখানে কার্যকর হতে পারে। সবকিছুর মিশিয়ে বল করতে হবে।’
স্লো ও লো উইকেটে অভিষেক হলেও জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে পারাটা সুযোগটা রোমাঞ্চিত করছে তরুণ এই পেইসারকে।
তিনি বলেন, ‘অভিষেকের সুযোগটা অসাধারণ। সফরটাও আমার জন্য একটু অদ্ভূত। দেশের ১৫তম বোলার হিসেবে নেওয়া হয়েছে আমাকে, কারণ বাকি সবাই নেই। তার পরও এখানে আসতে পারা দারুণ এক সুযোগ।’