ক্লাবের আইকনকে হারানোর পর খুব একটা খারাপ কাটছে না বার্সেলোনার। লিওনেল মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমে টানা ৩ ম্যাচ অপরাজিত ব্লুগ্রানা।
লা লিগার তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে হেতাফেকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। দলের হয়ে গোল করেন সার্হি রবার্তো ও মেম্ফিস ডিপায়। হেতাফের হয়ে এক গোল শোধ করেন সান্ড্রো রামিরেস।
নিজ মাঠ কাম্প ন্যুয়ে ম্যাচের প্রথম আক্রমণ থেকে গোল পায় বার্সেলোনা। হোর্দি আলবার ক্রস মার্টিন ব্র্যাথওয়েইট মিস করলেও বক্সে উপস্থিত রবার্তো হাতছাড়া করেননি। দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
কিছু বুঝে ওঠার আগে পিছিয়ে পড়লেও হতচকিত হয়ে যায়নি হেতাফে। সফরকারী দল পুরোদমে চাপ বজায় রাখে বার্সেলোনা ডিফেন্সের ওপর।
চাপ বেশিক্ষণ নিতে পারেনি বার্সা। নতুন সাথা এমারসন বক্সের কিনারায় ট্যাকল করে বল তুলে দেন রামিরেসের পায়ে।
বার্সেলোনার সাবেক খেলোয়াড় কার্লেস আলেনিয়ার সঙ্গে ওয়া-টু-ওয়ান করে আবারও বল পেয়ে যান রামিরেস। দলকে সমতায় ফেরাতে চমৎকার শটে বল জালে জড়ান তিনি। ম্যাচের ঘড়িতে তখন ১৮ মিনিট।
ডিফেন্সে সমস্যা থাকলেও আক্রমণ থামায়নি বার্সা। তাদেরকে আবারও লিড এনে দেয় দলের ডাচ কানেকশন। ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের বাড়ানো বল ডিপায় পেয়ে যান বক্সের ঠিক বাইরে।
হেতাফের ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে কাট করে ঢোকেন বক্সে। এর জোরালো শটে এগিয়ে দেন স্বাগতিক দলকে। ৩০ মিনিটে স্কোরলাইন দাঁড়ায় বার্সেলোনার পক্ষে ২-১।
ম্যাচের এক ঘণ্টা সময় বাকি থাকায় মাঠে উপস্থিত ৩০ হাজার দর্শক বার্সেলোনার কাছ থেকে আরও গোলের প্রত্যাশায় ছিলেন। তবে হতাশ করে বার্সা।
স্বাগতিকরা এক গোলের লিড নেয়ার পর আর পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। হেতাফেও ছিল নিস্প্রভ। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে ঢিমেতালের খেলা উপহার দেই দুই দল।
শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। মেসি ক্লাব ছাড়ার পর তিন ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।
যা পয়েন্ট টেবিলের তাদের নিয়ে এসেছে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের একই সমতলে। ৩ ম্যাচ শেষে দুই দলেরই পয়েন্ট ৭।
এরপর আর লিগ ম্যাচ নেই বার্সেলোনার। আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ১৫ সেপ্টেম্বর কাতালান জায়ান্টরা সরাসরি নামবে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াইয়ে।
ওইদিন গ্রুপ-ই এর লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ পর্তুগালের বেনফিকা।