সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রোববার শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর অনেক জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার অপারেটরদের ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক মিডিয়া ব্লক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এর ছয় ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেয়া হয়। তার একদিন পর আবারও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো।
কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ আয়োজনের কথা জানান আন্দোলনের সমন্বয়করা। এছাড়া রাজধানীতে সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১০, রামপুরা, তেজগাঁও, ফার্মগেট, পান্থপথ, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় বিক্ষোভ এবং গণসমাবেশ আয়োজনের কথা রয়েছে।
কর্মসূচি সফল করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়।