বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে চন্দ্রযান-৩

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৪:৫৯

ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ মূল মহাকাশযান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর এর প্রাথমিক গন্তব্য হবে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার উপরের কক্ষপথে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে তাকে নামানো হবে চাঁদের মাটিতে। চন্দ্রযান-৩ থেকে ‘বিক্রম’ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথে রওনা হওয়ার পর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তৈরি চন্দ্রযান-৩ এবার চাঁদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার মহাকাশযানটি থেকে ল্যান্ডার আলাদা হয়ে গেছে। চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ আগামী বুধবার চাঁদে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ মূল মহাকাশযান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর এর প্রাথমিক গন্তব্য হবে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার উপরের কক্ষপথে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে সেটিকে নামানো হবে চাঁদের মাটিতে। চন্দ্রযান-৩ থেকে ‘বিক্রম’ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) আগে থেকেই ঘোষণা করে রেখেছে, আগামী ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ল্যান্ডার। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ের আগে চাঁদে নেমে পড়তে পারে ‘বিক্রম’।

মূল মহাকাশযান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ‘বিক্রম’কে চাঁদে নামানোর জন্য ইসরোর হাতে এখনও ছয়দিন সময় আছে। তবে বিচ্ছেদের পর অবতরণ প্রক্রিয়ায় সাধারণত এত সময় লাগে না। ফলে সময়ের আগেই চাঁদে ‘বিক্রম’ নামবে কি না, সে দিকে নজর থাকবে।

‘বিক্রম’-এর মূল গন্তব্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনো দেশের কোনো মহাকাশযান নামতে পারেনি। ইসরো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল ভাবে ল্যান্ডার নামাতে সক্ষম হলে ইতিহাস তৈরি করবে ভারত।

বিবিসি জানিয়েছে, গত ১৪ জুলাই ভারত চাঁদের উদ্দেশে তৃতীয় অভিযান শুরু করে। ওই দিন দুপুরে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে চাঁদের দিকে রওনা দেয় চন্দ্রযান-৩। একটি এলভিএম-৩ রকেট দিয়ে চাঁদের উদ্দেশে চন্দ্রযানটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়।

চন্দ্রাভিযানে রয়েছে একটি ল্যাণ্ডার ও একটি রোভার। ল্যাণ্ডার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে আর রোভার চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে। ল্যাণ্ডারটি আগস্টের ২৩-২৪ তারিখে চাঁদের পিঠে নামার কথা। ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইয়ের নামে ল্যাণ্ডারটির নাম রাখা হয়েছে ‘বিক্রম’ আর রোভারটির নাম ‘প্রজ্ঞান’।

এই অভিযানে সফল হলে ভারত চতুর্থ দেশ হবে, যারা চাঁদের পিঠে পৌঁছাবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন চাঁদে নামতে সফল হয়েছে।

আগের অভিযানে ২০১৯ সালে ঠিক চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময়ে ল্যাণ্ডার-রোভারটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে চন্দ্রযান-২-এর সেই অরবিটার এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বেস-স্টেশনে নিয়মিত তথ্য পাঠিয়ে চলেছে।

তৃতীয় চন্দ্রাভিযানে ল্যাণ্ডার-রোভারটির অবতরণ করার কথা চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে, যে জায়গাটি সম্বন্ধে এখনও বিস্তারিত জানা যায় না। চাঁদের পৃষ্ঠের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে চাঁদের বয়স আবিষ্কারেরও চেষ্টা হবে বলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

দিল্লির শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্সের শিক্ষক ড. আকাশ সিনহা বলছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণের ঝুঁকি যেমন আছে, তেমনই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সম্ভাবনাও এই অঞ্চলেই বেশি।

চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই দক্ষিণ মেরু অংশেই ২০০৮ সালে জলের সন্ধান পেয়েছিল চন্দ্রযান-১।

এ বিভাগের আরো খবর