বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহাকাশে ইঁদুর-বানরের প্রজননক্ষমতা দেখতে চায় চীন

  • ইয়াসিন আরাফাত    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:০৬

ইঁদুর ও বানরের ওপর এ ধরনের গবেষণায় জটিলতা আছে বলেও মনে করছেন অনেকে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত গবেষকেরা কিছু ইঁদুরকে মহাকাশে পাঠান। সেখানে শারীরিক মিলনের পরেও মেয়ে ইঁদুর গর্ভবতী হয়নি।

শূন্য মহাকর্ষে বানর ও ইঁদুরের প্রজননক্ষমতা কেমন তা নিয়ে গবেষণায় নামছে চীন। এ জন্য তাদের তিয়াংগং স্পেস স্টেশনে পাঠানো হচ্ছে প্রাণী দুটিকে।

চীনের বিজ্ঞানী ঝ্যাং লু এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার বরাত দিয়ে হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেস স্টেশনের বৃহত্তম মডিউলে এই পরীক্ষা পরিচালিত হবে, যেটি প্রধানত জীববিজ্ঞান-সংক্রান্ত গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

বিজ্ঞানী ঝ্যাং জানান, মডিউলের দুটি জৈবিক পরীক্ষাগারে বর্তমানে শেওলা, মাছ বা শামুক নিয়ে গবেষণা চলছে। এরপর ইঁদুর ও বানর নিয়েও গবেষণা চলবে। এসব প্রাণী মহাকাশের পরিবেশে প্রজনন চালাতে সক্ষম কি না, তা দেখার চেষ্টা করবেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

চীনা এই বিজ্ঞানী মনে করেন, এই গবেষণার মাধ্যমে শূন্য মহাকর্ষ বল ও অন্যান্য মহাকর্ষীয় পরিবেশে প্রাণীর অভিযোজনক্ষমতা সম্পর্কে মানুষের জানার পরিধি বাড়বে।

তবে ইঁদুর ও বানরের ওপর এ ধরনের গবেষণায় জটিলতা আছে বলেও মনে করছেন অনেকে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত গবেষকেরা কিছু ইঁদুরকে মহাকাশে পাঠান। সেখানে শারীরিক মিলনের পরেও মেয়ে ইঁদুর গর্ভবতী হয়নি।

চীনের সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কেহকুই কি বলেন, ‘প্রাণী যত বাড়ানো হচ্ছে মহাকাশে জীববিজ্ঞান নিয়ে পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ তত বাড়ছে। মহাকাশচারীদের এসব প্রাণীকে খাওয়াতেও হয় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হয়।’

অধ্যাপক কি বলেন, ‘বানর এবং মানুষের অনেক মিল রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ চাঁদ বা মঙ্গলে দীর্ঘমেয়াদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। আর তাই এ ধরনের পরীক্ষা জরুরি।’

পৃথিবীর তুলনায় কক্ষপথে কয়েক শ গুণ বেশি শক্তিশালী মহাজাগতিক রশ্মি রয়েছে। কিছু কিছু গবেষকের ধারণা, এই রশ্মি শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর গুণগত ক্ষতি করতে পারে।

আবার কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্যাকর্ষণের অনুপস্থিতি অণ্ডকোষ ও অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে প্রাণীদের যৌন হরমোনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমার ঝুঁকি তৈরি হয়।

তবে অন্যান্য গবেষণায় ইতিবাচক ফলও পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মাহাকাশ স্টেশনের দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মহাকাশযান উৎক্ষেপণ বা অবতরণের সময় মহাকাশচারীদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়। তবে কক্ষপথে থাকার বেশির ভাগ সময় মহাকাশচারীদের দেহে এই হরমোনের মাত্রা থাকে স্বাভাবিক।

এ বিভাগের আরো খবর