অ্যাপোলো যুগের ৫০ বছর পরে আবারও চাঁদের বুকে ফিরতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এ জন্য তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেট আর্টেমিস-ওয়ান আজ চাঁদের উদ্দেশে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। স্নায়ুযুদ্ধের পরে চাঁদকে কেন্দ্র করে আর্টেমিস প্রজেক্টই হতে যাচ্ছে নাসার সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবে আর্টেমিস। নাসার ইউটিউব চ্যানেলে এই উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখা যাবে।
উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস কেনেডি স্পেস সেন্টারে উপস্থিত থাকবেন।
আর্টেমিস রকেটটি ওরায়োন নামের একটি মানুষ বিহীন ক্যাপসুলকে পরীক্ষামূলকভাবে চাঁদের কক্ষপথে পাঠাবে।
২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে ফিরতে চায় নাসা। এসএলএসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে আর্টেমিসটি উৎক্ষেপণ করতে চায় সংস্থাটি। আশা করা হচ্ছে, মোট দুই ধাপে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পর তৃতীয় ধাপে নভোচারী নিয়ে যাবে এসএলএস।
নাসার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আবহাওয়াগত ও প্রযুক্তিগত কারণে যদি আজ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা না হয়, তবে ২ সেপ্টেম্বর অথবা ৫ সেপ্টেম্বর এটি মহাকাশে পাড়ি জমাবে।
শনিবার ফ্লোরিডায় হওয়া এক ঝড়ে কেনেডি স্পেস সেন্টারের রকেট উৎক্ষেপণ সাইটে বাজ পড়েছিল। তবে নাসা জানিয়েছে, স্পেসক্র্যাফট বা লঞ্চিং সিস্টেমের কোনো ক্ষতি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার সেখানে ঘুরে আসতে নয়, স্থায়ীভাবে থাকতে চায় তারা। প্রথমবারের মতো এই মিশনে চাঁদের বুকে পা রাখবেন একজন নারী নভোচারী। এর আগে অ্যাপোলো মিশনগুলোতে কোনো নারীকে পাঠানো হয়নি।
আগের চন্দ্রাভিযানের নামকরণ করা হয়েছিল গ্রিক চন্দ্রদেবতা অ্যাপোলোর নামানুসারে। এবার যেহেতু চাঁদে প্রথম নারীর পদচিহ্ন পড়তে যাচ্ছে, তাই অ্যাপোলোরই যমজ বোন আর্টেমিসের নামে এই মিশনের নামকরণ করা হয়েছে।
১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ দিয়ে শুরু হওয়া পাঁচটি মিশনে মোট ১০ জন নভোচারী চাঁদের বুকে হেঁটেছেন।