বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তরুণদের আইসিটির দক্ষতা বিকাশে হুয়াওয়ের ৩ প্রতিযোগিতা

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২২ ০০:০৭

প্রতিযোগিতাটি দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি আইডিয়া পর্যায়, অন্যটি সূচনা পর্যায় (আর্লি স্টেজ)। হুয়াওয়ে আয়োজিত আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতায় স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে আইডিইএ এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।

স্থানীয় স্টার্টআপ ও তরুণদের আইসিটি দক্ষতা বিকাশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বুধবার তিনটি নতুন প্রতিযোগিতা চালু করেছে।

প্রোগ্রামগুলো হলো আইসিটি ইনকিউবেটর, অ্যাপ ডেভেলপার ও টেক উইমেন।

রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।

তিনটি প্রোগ্রামই নতুন স্টার্টআপের সূচনা এবং মোবাইল অ্যাপ তৈরির ধারণা বাস্তবায়নে ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে, আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতাটি স্টার্টআপের ওপর আলোকপাত করবে।

প্রতিযোগিতাটি দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি আইডিয়া পর্যায়, অন্যটি সূচনা পর্যায় (আর্লি স্টেজ)।

হুয়াওয়ে আয়োজিত আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতায় স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে আইডিইএ এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।

আইসিটি ইনকিউবেশন প্রতিযোগিতার আইডিয়া স্টেজ এবং আর্লি স্টেজ, উভয় ক্ষেত্রে বিজয়ীরা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি পাবেন। স্টার্টআপের প্রধান নির্বাহীরা বিদেশে সফল স্টার্টআপের কার্যক্রম পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন এবং সর্বোচ্চ এক লাখ ২৫ হাজার ডলার সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট পাবেন।

প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবেন যথাক্রমে সর্বোচ্চ তিন লাখ ও এক লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ স্টার্টআপগুলোর প্রধান নির্বাহীরাও বিদেশে সফল স্টার্টআপের কার্যক্রম পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন,সঙ্গে পাবেন ৮০ হাজার ডলার মূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট।

অন্য দুটি প্রতিযোগিতা হুয়াওয়ে এককভাবে আয়োজন করছে। হুয়াওয়ে অ্যাপ ডেভেলপার ও হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

একটি দলে সর্বোচ্চ দুজন সদস্য থাকতে পারবে। প্রতিযোগিতায় ৩.০ এর ওপরে সিজিপিএসহ যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রোগ্রামটিতে শুধু নারীরা অংশ নিতে পারবেন। অন্যদিকে, হুয়াওয়ে অ্যাপ ডেভেলপার প্রোগ্রামে নারী-পুরুষ উভয়ই অংশ নিতে পারবেন।

অ্যাপ ডেভেলপার ও হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রতিযোগিতার বিজয়ী পাবেন ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি। পাশাপশি, তারা বিশ্বব্যাপী সফল অ্যাপ ডেভেলপারদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন এবং ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত হুয়াওয়ে ক্লাউড রিসোর্স পাবেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবেন যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই ও এক লাখ টাকা প্রাইজমানি এবং তিন হাজার ও দুই হাজার ডলারের ক্লাউড রিসোর্স।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এবং হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যান জুনফেং।

তার বক্তব্যের মাধ্যমে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে পলক বলেন, ডিজিটাল সমাজ, জ্ঞনাভিত্তিক অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের একটা স্টার্টআপ কমিউনিটি তৈরি করতে হবে। সেই বিষয়টাকে এগিয়ে দিতে এই প্রতিযোগিতা গুলোর মাধ্যমে চমৎকার একটা পার্টনারশিপ মডেল হুয়াওয়ে গড়ে তুলেছে। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য, আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের জন্য যে বিশেষ এই আয়োজন হুয়াওয়ে তৈরি করেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপরা আছেন, মেন্ট্রররা আছেন, বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে নিজেই আছে এবং সর্বপোরি আমি বাংলাদেশ সরকার থেকে প্রতিনিধিত্ব করছি।

প্যান জুনফেং বলেন, “আইসিটি ইনকিউবেটর প্রাথমিক পর্যায়ের স্টার্টআপ এবং আইডিযয়া-স্টেজে থাকা স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করে প্রত্যেকের জন্য একটি কার্যকরী এবং টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলবে। উদ্যোগটি নতুন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ইইই, ইসিই ও সিএসই বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদ্যমান দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। প্রোগ্রামটি দেশের নারীদের (যারা প্রযুক্তি-বিষয়ক খাতে কর্মরত আছেন কিংবা প্রযুক্তি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন) প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার ওপরও আলোকপাত করবে। এ প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে সবাই সুবিধা লাভ করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।”

চুয়েটের ইসিই বিভাগের ডিন এবং আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. মশিউল হক বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্ম ও মেধাবীদের জন্য একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের বিকাশে হুয়াওয়ে অ্যাপ ডেভেপলার, টেক উইমেন ও আইসিটি ইনকিউবেটর প্রোগ্রামগুলো অত্যন্ত সময়োপযোগী সব উদ্যোগ। আমার বিশ্বাস, তরুণদের মেধার বিকাশে উদ্ভাবনী এসব উদ্যোগ সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে এবং তাদের দক্ষতা অর্জনে ও স্বীকৃতিদানের মাধ্যমে সৃষ্টিশীলতা বিকাশের সুযোগ তৈরি করবে।”

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “কয়েক বছর ধরে হুয়াওয়ে তরুণদের বিকাশে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে আমি দেখতে পেয়েছি। যেমন: হুয়াওয়ের আইকনিক সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামটিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন জ্ঞান আহরণ ও এর মাধ্যমে তাদের জীবনে যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা আমি দেখতে পেয়েছি। এ তিনটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন দক্ষতা রপ্ত করতে পারবেন; একইসঙ্গে তারা তাদের অর্জিত দক্ষতা প্রদর্শনেরও সুযোগ পাবেন।”

সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিওও ইলমুল হক সজীব বলেন, “গত দুই বছরে আমরা দেখেছি আইসিটি খাত কীভাবে জিডিপিতে অবদান রেখেছে এবং সঙ্কটের সময়েও প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে ভূমিকা রেখে চলেছে। আমাদের এ খাত নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। আমি মনে করি, এ উদ্যোগ আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং এ খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”

আগ্রহী প্রার্থীরা এই প্রোগ্রামগুলোতে অংশ নিতে ১৫ জুন থেকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুন: https://hibator.com/

এ বিভাগের আরো খবর