বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মঙ্গলে প্রাণের সন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ধাপে পারসিভারেন্স

  •    
  • ১৭ মে, ২০২২ ১০:৩৬

অতীতে মঙ্গলে কোনো প্রাণ ছিল কি না তা যাচাইয়ের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো শিলা পরীক্ষা করে দেখা। অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টার শিলা শুধু পর্যবেক্ষণ করবে না, ভবিষ্যতে বিস্তারিত গবেষণার জন্য শিলা সংগ্রহ করবে পারসিভারেন্স। নাসার লক্ষ্য হলো ২০৩০-এর দশকে বিস্তারিত গবেষণার জন্য এই শিলাগুলোকে পৃথিবীতে নিয়ে আসা।

মঙ্গল নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে মহাকাশ উদ্যোক্তাদের আগ্রহের শেষ নেই। বিশ্বের শীর্ষধনী ইলন মাস্ক তো মঙ্গলগ্রহে মানব বসতিই স্থাপন করতে চান। শুধু ইলনই নয়, নাসাও জানতে চায় মঙ্গল সম্পর্কে। মঙ্গলকে কী মানব বসতির জন্য উপযোগী করা যাবে, সেখানে কি কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। এগুলো মঙ্গল সম্পর্কে খুব মৌলিক প্রশ্ন। যার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে নাসা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান ও জীবনধারণ নিয়ে গবেষণার জন্য পাঠানো নাসার পারসিভারেন্স রোভার তার মিশনের একটি বড় মুহূর্তে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করে আসছেন, মঙ্গলে আদিমকালের প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে গ্রহটির অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টা এলাকায়। আর মঙ্গলবারই ছয় চাকার রোবটটি এনসিয়েন্ট ডেল্টাতে উঠতে শুরু করবে। বলা হয়ে থাকে, এখন পর্যন্ত যতগুলো মিশন ভিন্ন গ্রহে পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পারসিভারেন্সের সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।

নাসার পাঠানো এই রোবটটি এরই মধ্যে মঙ্গলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। প্রথমবারের মতো পারসিভারেন্স রোভারই মঙ্গলে অক্সিজেন উৎপাদন করেছে। হাইটেক এই রোবট ড্রোন হেলিকপ্টারও মঙ্গলের আকাশে উড়িয়েছে।

অতীতে মঙ্গলে কোনো প্রাণ ছিল কি না তা যাচাইয়ের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো শিলা পরীক্ষা করে দেখা। পারসিভারেন্স শুধু শিলা পরীক্ষা করেই দেখে না। শিলা সংগ্রহ করে অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টার নিচে এনে সে শিলাগুলোকে জড়ো করবে। নাসার লক্ষ্য হলো ২০৩০-এর দশকে বিস্তারিত গবেষণার জন্য এই শিলাগুলোকে পৃথিবীতে নিয়ে আসা।

পারসিভারেন্স রোভারকে মঙ্গলে মিশনে পাঠানো হয়েছে প্রাণের অনুসন্ধানের জন্য। তাকে যেখানে নামানো হয় সেই স্থানটির নাম জেজেরো ক্রেটার। ধারণা করা হয়। সেখানে একসময় হ্রদ ছিল। ফলে সেখানে একসময় অণুজীবের মতো প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়।

পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীরা জেজেরো ক্রেটারের কাছেই অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টা সন্ধান পায়। এর আকৃতিতে গবেষকদের ধারণা এর পাশে নদীর মতো প্রবাহ ছিল। ফলে একসময় সেখানে প্রাণ থাকা খুবই সম্ভব। তাই পারসিভারেন্সের অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টার যাত্রায় উচ্ছ্বসিত মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টা প্রকৃত অর্থে এমন একটি কাঠামো, যা নদীর বয়ে আনা পলি দিয়ে তৈরি হয়। যেখানে থাকে জীবন ধারণের উপাদান, ফলে একসময় সেখানে অণুজীবের জীবন ধারণ অস্বাভাবিক কিছু নয়।

এ বিভাগের আরো খবর