বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ মাসে ৫০ শতাংশ দাম হারাল বিটকয়েন

  •    
  • ৯ মে, ২০২২ ১১:১৯

বেশ কয়েক বছর ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের আধিপত্য থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে হেজ ফান্ডস ও মানি ম্যানেজারসের মতো পেশাদার বিনিয়োগকারীর আবির্ভাব ঘটে। এল সালভাদর ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এরই মধ্যে বিটকয়েনকে রাষ্ট্রীয় মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সর্বশেষ গুচির মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেও দামে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

বিটকয়েনের দাম কমছেই। কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য মতে, এরই মধ্যে এর দাম এসে ঠেকেছে ৩৩ হাজার ৬৩১ ডলারে। সেই হিসাবে গত নভেম্বরের তুলনায় সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম কমল ৫০ শতাংশ। এ পর্যন্ত বিটকয়েনের সর্বোচ্চ দাম ৬৮ হাজার ৯৯০ ডলার হয়েছিল।

বিটকয়েনের পর ইথারিয়ামকেই দ্বিতীয় বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গত সপ্তাহের তুলনায় এটিও দাম হারিয়েছে ১০ শতাংশ। কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য মতে, ইথারিয়ামের বর্তমান দাম ২ হাজার ৪৬১ ডলার।

২০২২ সালের শুরু থেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কোনো চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযান দরপতনের গতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ভক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন আশঙ্কা প্রকাশ করছে, রাশিয়া ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অবরোধ এড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম আবারও বাড়তে পারে।

এদিকে ইলন মাস্কের সমর্থন পাওয়া ডজকয়েনের দামও কমছে। যদিও ইলন মাস্ক টুইটার কিনে ফেলার পর ডজকয়েনের দাম কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু অন্যান্য কয়েনের মতো আবারও দাম হারাচ্ছে ডজকয়েন। বর্তমানে কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য মতে, এর দাম রয়েছে ০.১২৮ সেন্ট।

গত এক সপ্তাহে সোলানার দাম কমেছে ১৬.৪৭ শতাংশ। কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য মতে,সোলানার দাম ৭৫.৮৬ ডলার। গত বছর এর দাম ২০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। ইনভেস্টিং.কমের তালিকায় সোলানার অবস্থান এখন ৭ নম্বরে।

এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প নিজস্ব এনএফটির ঘোষণা দিলে তিনি সোলানা প্ল্যাটফর্মে তার প্রথম এনএফটি নিলামে তোলেন। সে সময় প্রযুক্তি জগতে এটিকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের আধিপত্য থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে হেজ ফান্ডস ও মানি ম্যানেজারসের মতো পেশাদার বিনিয়োগকারীর আবির্ভাব ঘটে।

এল সালভাদর ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এরই মধ্যে বিটকয়েনকে রাষ্ট্রীয় মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সর্বশেষ গুচির মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেও দামে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মানুষের এনএফটি, ক্রিপ্টোর মতো ডিজিটাল সম্পদে আগ্রহ কমছে এবং বাড়ি, সোনার মতো দৃশ্যমান সম্পদে আগ্রহ বাড়ছে।

এর আগে ক্রিপ্টো ফার্ম নেক্সোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন্টনি ক্রেনচেভ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এক বছরের মধ্যে বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ডলার স্পর্শ করবে।

এর আগে ২০২০-এর জানুয়ারিতেও ক্রেনচেভ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে বছর শেষে বিটকয়েনের দাম ৫০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। যদিও সে সময় তার ভবিষ্যদ্বাণী হয়নি। ২০২০-এর শেষে বিটকয়েনের সর্বোচ্চ দাম দাঁড়ায় ২৯ হাজার ডলার।

কিন্তু তার দুই মাস পরই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিটকয়েনের দাম ৫০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়।

তবে বিটফিনিক্সের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা পাওলো আরদোইনো একমত নন ক্রেনচেভের সঙ্গে।

আরদোইনো বলেছিলেন, ‘আমরা ক্রিপ্টোর ভলিউম কমে যেতে দেখছি, এমনকি কয়েক সপ্তাহ ধরে বিটকয়েনের ভলিউমও পড়তির দিকে। বিটকয়েনের দাম ৪০ হাজার ডলারের নিচে নেমে যেতে পারে ও বছর শেষে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ হাজার ডলার হতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর