মিমকয়েন হিসেবে আবির্ভাব হলেও এরই মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে ডজকয়েন। ইনভেস্টিং-এর তথ্যমতে বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির তালিকায় এর অবস্থান ১১তম।
ডজকয়েনের পেছনে রয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক, যিনি নিজেকে ডজফাদার হিসেবে দাবি করেন। এ ছাড়া ইথারিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা ভিটালিক বুটেরিন লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে ডজকয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হয়তো ইথারিয়ামের থেকেও ডজকয়েনের ভবিষ্যৎ ভালো।
এবার নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান রবিনহুডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্লাদ তেনেভ বলেছেন, ডজকয়েনের পক্ষে ‘ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ মুদ্রা’ হয়ে ওঠা সম্ভব, যদি ডেভেলপাররা এর কার্যকারিতা বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়।
রবিনহুডে খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য ডজকয়েন বেচাকেনার সুযোগ চালু করার পরই এক টুইটার পোস্টে তিনি ডজকয়েন নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ডজকয়েনের প্রধান সুবিধা হলো এর লেনদেনের ফি প্রথাগত ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু এর সমস্যাটি হলো, ডজকয়েনের ব্লকটাইম কম। সেকেন্ডে মাত্র ৪০টি লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে, অথচ ভিসা নেটওয়ার্ক তাত্ত্বিকভাবে ৬৫ হাজার টিপিএস পরিচালনা করতে পারে।
তবে এর অত্যধিক সাপ্লাইয়ের কারণে এর মুদ্রাস্ফীতি অত্যন্ত বেশি। যদিও ডলারের সঙ্গে তুলনা করলে এর সংখ্যা অনেক কম।
কয়েন মার্কেট ক্যাপের হিসাবে ডজকয়েনের বর্তমান দাম ০.১৩ ডলার। মার্কেট ক্যাপিং ১৮.২০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে একবার ডজকয়েনের দাম ০.৭০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। সে সময় কয়েন মার্কেট ক্যাপের তালিকায় বিটকয়েন, ইথারিয়ামের পর ডজকয়েন জায়গা করে নেয়।
ইলন মাস্ক সম্প্রতি ৪৩ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনিও মনে করেন, সামাজিকমাধ্যমটির উচিত ডজকয়েনকে নিজের প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে একীভূত করে নেয়া।