বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রে কসমেটিক্স পণ্যে উচ্চ মাত্রার ফ্লোরিন

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২১ ১৭:১২

নতুন গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পাওয়া যায় এমন ২৩১টি কসমেটিক্স পণ্যের মধ্যে ৫২ শতাংশ পণ্যে উচ্চ মাত্রায় ফ্লোরিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর অর্থ ওইসব পণ্যে পিএফএএস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বিক্রি হওয়া বিপুল সংখ্যক কসমেটিক্স পণ্যে উচ্চ মাত্রায় ফ্লোরিন পাওয়া গেছে। ওইসব পণ্যে ‘ফরেভার কেমিক্যাল’ নামে পরিচিত সম্ভাব্য ক্ষতিকর পার-অ্যান্ড পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবসটেন্সেস (পিএফএএস) থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সায়েন্স এলার্টের শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের তৈরি হাজার হাজার যৌগিক পদার্থের সংমিশ্রণ পিএফএএস। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে গৃহস্থালী ও বাণিজ্যিক পণ্য উৎপাদনে এসব যৌগ ব্যবহার হয়ে আসছে।

গত কয়েক দশকের গবেষণায় দেখা যায়, টেকসই পিএফএএস পরিবেশে ব্যাপক মাত্রায় পাওয়া যায়। মানুষ ও জীবজন্তুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষতিকর প্রভাবের সঙ্গে পিএফএএস যৌগিক পদার্থের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতির যোগসূত্র রয়েছে।

পিএফএএস সম্ভাব্য ও অজানা ঝুঁকির কারণ হলেও এতে বিভিন্ন ধরনের যৌগ উপস্থিত থাকায় অনেক ‘ফরেভার কেমিক্যাল’ এখনও বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইউরোপ ও এশিয়ার কসমেটিক্স পণ্যে এই কেমিক্যাল পাওয়ার ঘটনা আগের এক গবেষণায় জানা যায়।

বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সম্প্রতি দেখা যায়, উত্তর আমেরিকায় বিক্রি হওয়া কসমেটিক্স পণ্যে পিএফএএস কেমিক্যাল রয়েছে।

নতুন ওই গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পাওয়া যায় এমন ২৩১টি কসমেটিক্স পণ্যের মধ্যে ৫২ শতাংশ পণ্যে উচ্চ মাত্রায় ফ্লোরিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর অর্থ ওইসব পণ্যে পিএফএএস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ নটর ডেমের পদার্থবিদ গ্রাহাম পিয়াসলি বলেন, ‘এসব কসমেটিক্স পণ্য চোখ ও মুখের চারদিকে দেয়া হয়। চামড়া, টিয়ার ডাক্টের পাশাপাশি শ্বাস বা খাবার গ্রহণের সময় এসব যৌগ শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘পিএফএএস স্থির কেমিক্যাল। রক্তপ্রবাহে একবার ঢুকলে এটি সেখানেই থাকে ও জমাটবদ্ধ হয়।’

পরীক্ষা-নিরীক্ষায় লিপস্টিক, ফাউন্ডেশন, কনসিলারসহ আরও অনেক কসমেটিক্স পণ্যে উচ্চ মাত্রায় ফ্লোরিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

ওয়াটারপ্রুফ মাসকারায় অনেক বেশি মাত্রায় ফ্লোরিন পাওয়া গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা মাসকারার মধ্যে ৮২ শতাংশ মাসকারায় ওই কেমিক্যাল পাওয়া যায়।

মুখে ব্যবহার করা প্রসাধন সামগ্রীর (পাউডার, ব্লাশ, ব্রোঞ্জার, হাইলাইটার, প্রাইমার, স্প্রে) ৪০ শতাংশের মধ্যে ফ্লোরিন পাওয়া গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলেন, “উচ্চ মাত্রার ফ্লোরিনের উপস্থিতি থাকা পণ্যের (ফাউন্ডেশন, লিকুইড লিপস্টিক, ওয়াটারপ্রুফ মাসকারাসহ অন্যান্য কসমেটিক্স) বিজ্ঞাপনে ‘পানি ও তেল প্রতিরোধী’ বা ‘দীর্ঘস্থায়ী’এসব কথা লেখা থাকে।”

গবেষনায় কসমেটিক্স পণ্যে পিএফএএসের উপস্থিতি ধরা পড়লেও এগুলোর মড়কে ভিন্ন কথা লেখা রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) নীতিমালার লঙ্ঘন।

গবেষকেরা বলেন, ‘২৩১ কসমেটিক্স পণ্যের মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশ পণ্যের মড়কে উপাদানের অংশে পিএফএএসের উল্লেখ ছিল। আর ২৯টি পণ্যের মধ্যে কেবল ৩ শতাংশ পণ্যের উপাদানে পিএফএএস যুক্ত ছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর