বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুষ্প রেণুতে করোনা বেশি ছড়ায়: গবেষণা

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ২০:১৪

জার্মানির ইউনির্ভাসিটি অফ আউগসবুর্গের এনভায়রোমেন্টাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান স্টেফানি গিলস বলেন, ‘গবেষণায় আমরা দেখি, বায়ুবাহিত পরাগের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের হারের পরিসংখ্যানগত উল্লেখযোগ্য ও ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা প্রতিবেদনে দেখিয়েছি, পরাগ অ্যান্টিভাইরাল ইন্টারফেরন রেসপন্স কমাতে পারে। অর্থাৎ বায়ুবাহিত পরাগ মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে।’

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে বিজ্ঞানীরা জানায়, করোনাভাইরাস খুবই ঠাণ্ডা উপযোগী। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো তীব্র ঠাণ্ডা আবহাওয়ার দেশে ভাইরাসটি বেশি ছড়াবে। কিন্তু ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরান, ব্রাজিলসহ অন্যান্য গ্রীষ্মপ্রধান দেশে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের ঘটনায় বিজ্ঞানীদের সেসব গবেষণা অনেক আগেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

করোনাকে ঘিরে প্রথম দিককার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হলেও এর গতি প্রকৃতি নিয়ে থামেনি বিজ্ঞানীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা। এবার জার্মানির শীর্ষ পর্যায়ের এক দল বিজ্ঞানী গবেষণায় দেখেছেন, ফুলের রেণুর সঙ্গে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগের যোগসূত্র রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সিজিটিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুবাহিত রেণু মানবদেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। এর অর্থ বাতাসে পরাগের অতিরিক্ত উপস্থিতি সর্দি-কাশি বা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনির্ভাসিটি অফ মিউনিখ ও গবেষণা সংস্থা হেলহোজ সেনথুম মুনশেনের গবেষকরা এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এ তিন মাস ৩১টি দেশ থেকে ২৪৮ প্রকারের পরাগের নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। প্রাপ্ত নমুনা সমন্বয়ে কাজ করেন বিভিন্ন দেশের ১৫৪ জন বিশ্লেষক।

জার্মানির ইউনির্ভাসিটি অফ আউগসবুর্গের এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান স্টেফানি গিলস বলেন, ‘গবেষণায় আমরা দেখি, বায়ুবাহিত পরাগের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের হারের পরিসংখ্যানগত উল্লেখযোগ্য ও ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা প্রতিবেদনে দেখিয়েছি, পরাগ অ্যান্টিভাইরাল ইন্টারফেরন রেসপন্স কমাতে পারে। অর্থাৎ বায়ুবাহিত পরাগ মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে।’

এ বিষয়ে অ্যারোবায়োলজিস্ট ড. এথানাসিওস ড্যামিয়ালিস বলেন, ‘পরাগ মৌসুম, শহরের ঘনত্ব, আর্দ্রতা, বায়ু তাপমাত্রার মতো অন্যান্য বিষয়ও বিবেচনা করছি আমরা। করোনা সংক্রমণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে এমন শক্তিশালী পরাগ স্পেন, সুইজারল্যান্ডে পাওয়া গেছে।’

জলবায়ু পরিবর্তন বাতাসে পরাগের সংখ্যা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে এটি পরাগ মৌসুমের সময়ও বাড়িয়ে দেয়।

প্রতিবেদনে করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে লকডাউনের মতো বিধিনিষেধের ইতিবাচক ফলের কথা বলা হয়। বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, লকডাউন কত কঠোরভাবে মানা হচ্ছে তার চেয়ে সংক্রমণের কত আগে সেটি ঘোষণা করা হচ্ছে, তা জরুরি।

তবে এ প্রতিবেদন নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলেছেন গবেষকেরা।

ইউনির্ভাসিটি অফ আউগসবুর্গের অধ্যাপক গিলস বলেন, ‘বাতাসে পরাগের উপস্থিতি ও করোনা সংক্রমণের হারের মধ্যে আমরা পরিসংখ্যানগত সম্পর্ক পেয়েছি, কার্যকারণগত নয়। এ ছাড়া পরাগ করোনা সংক্রমণের চালিকাশক্তি নয়। এটি করোনার বাহকও না।’

এ বিভাগের আরো খবর