আগামী ৩১ অক্টোবর একদিকে শনিবার, অন্যদিকে হ্যালোউইন নাইট। পশ্চিমের দেশে এই রাতে বিদেহী আত্মা স্মরণে ভুতুড়ে উৎসবে মাতে মানুষ। সেই উৎসবের ডালপালা ইদানিং ছড়াতে শুরু করেছে এশিয়ার দেশগুলোতেও।
এবারের হ্যালোউইন নাইট আরেকটি কারণে বিশেষ মাত্রা পাচ্ছে। ওই রাতের আকাশেই উদিত হবে ব্লু মুন বা নীল চাঁদ। ফলে এবার শনিবারের ভুতুড়ে রাতটি হবে একদম অন্য রকমের। বিশালাকার চাঁদের আলোয় ভাসবে গোটা পৃথিবী।
এমন ঘটনা সবশেষ ঘটেছে ৭৬ বছর আগে ১৯৪৪ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর হ্যালোউইন নাইটে ব্লু মুনের নরম আলোয় কিছুটা শান্তি পেয়েছিল সারা পৃথিবীর মানুষ।
এর পর ১৯৫৫ সালের হ্যালোউইন নাইটেও এসেছে পূর্ণিমা, তবে তা সারা বিশ্ব থেকে দেখা যায়নি। হ্যালোউইন নাইট নিয়ে যেখানে বেশি হৈ চৈ, সেই যুক্তরাষ্ট্রের মানুষকেই সেবার বঞ্চিত করেছিল আকাশের চাঁদ।
এবারের পর হ্যালোউইন নাইটে সারা পৃথিবী থেকে ব্লু মুন আবার দেখা যাবে ২০৩৯ সালে। ফলে কোনো কারণে মিস করলে অপেক্ষা করতে হবে ১৯ বছর।
একই মাসে বা ৩০ দিনের মাথায় দুটি পূর্ণ চাঁদ দেখার জটিল অঙ্কটি নির্ধারিত হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে। গত ১ অক্টোবর আকাশে ছিল পূর্ণ চাঁদ। এই মাসেরই শেষ তারিখে ফের পূর্ণিমার কারণে চাঁদ পরিচিত হবে ব্লু মুন হিসেবে।
নাম ব্লু মুন হলেও এ রাতে চাঁদের আলো মোটেই কিন্তু নীলচে নয়। বরং এ রাতে আলো থাকবে আর সব পূর্ণিমা রাতের মতোই। তবে একই রাতে কখনো চন্দ্রগ্রহণ হলে ব্লু মুন হতে পারে রক্তিম। গ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে বলে এই লাল বা কমলা আভা দেখা যায়।
হ্যালোইনের রাতের ব্লু মুনকে বলা হয় ‘হান্টার মুন’। প্রায় আট দশক পর এমন মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে আকাশে চোখ রাখতে হবে শনিবার সন্ধ্যার পরে।