চাঁদ নিয়ে চমক জাগানো খবর জানাতে সোমবার বিশেষ টেলিকনফারেন্সে আসছেন নাসা’র বিজ্ঞানীরা। কী সেই খবর- তাই নিয়ে সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখন অধীর।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার উপরে উড়ছে বিশেষায়িত এক এয়ারক্র্যাফট- বোয়িং সেভানফোরসেভেনএসপি। মহাকাশের নজর রাখার কাজে নাসা ব্যবহার করছে উড়োজাহাটি। পুরো নাম- স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমি, সংক্ষেপে সোফিয়া।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বেশ উপরের দিকে থাকায় সোফিয়া বায়ুমণ্ডলের ইনফ্রারেড জটিলতার প্রায় ৯৯ শতাংশকেই পেছনে ফেলে নির্বিবাদে মহাকাশে নজর রাখতে পারে। ফলে পৃথিবীর বুকের যে কোনো টেলিস্কোপের চেয়ে সোফিয়ার টেলিস্কোপ থেকে দূর আকাশের অনেক নিখুঁত ছবি পান নাসার বিজ্ঞানীরা।
সেই সোফিয়াই দীর্ঘদিন চাঁদের বুকে নজর রেখে বিস্ময়কর কিছুর নাকি খোঁজ পেয়েছে। আর সেই খোঁজই সোমবার বিশ্ববাসীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে নাসা।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি চমকের বিষয়ে খুব একটা আভাস এখনো দেয়নি। তবে টেলিকনফারেন্সের সময়সূচি ঘোষণার সময় তারা বলেছে, ‘এই নতুন আবিষ্কার চাঁদ সম্পর্কে নাসার প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে। নাসার আর্টেমিস কর্মসূচির অধীনে ২০৩০ এর দশকের মধ্যে চাঁদে মানব বসতি গড়ার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সেখানে ২০২৪ সালে প্রথম নারীকে পাঠানো হবে।’
আর এই মন্তব্যের কারণেই অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানীর ধারণা, চাঁদে মানুষের টিকে থাকার জন্য অতি জরুরি পানির সন্ধান পাওয়ার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে পারে নাসা।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফের সম্ভাব্য অস্তিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করছে নাসা। এছাড়া, এক সময়ে লাভার স্রোত বইত চাঁদের বুকে এমন একটি খাদ নিয়েও সংস্থাটি বিশেষভাবে আগ্রহী। নাসা মনে করছে, খাদটি চাঁদে মানুষের নিরাপদ বসতি গড়ার একটি আদর্শ জায়গা হতে পারে।
আসছে সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় টেলিকনফারেন্সটি সরাসরি দেখা যাবে নাসার ওয়েবসাইটে।