কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ দলটির অন্তত ৫ হাজার নেতা-কর্মীর টুইটার অ্যাকাউন্ট লক বা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুধু নেতা-কর্মীই নন, কংগ্রেসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দিয়েছে টুইটার।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, টুইটার বেছে বেছে কংগ্রেসের নেতাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাইটটি ক্ষমতাসীন দলের মতো আচরণ করছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, রাজধানী দিল্লিতে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ ওঠার পর তার বাবা-মায়ের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন রাহুল। এরপর অ্যাকাউন্টটি লক করে দেয়া হয়।
কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, টুইটার ক্ষমতাসীন বিজেপির মতো আচরণ করছে।
অবশ্য টুইটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ছবিটি তাদের সুরক্ষা নীতিমালার লঙ্ঘন করেছে। টুইটার এটি ‘বিচক্ষণতা ও নিরপেক্ষভাবে’ প্রয়োগ করেছে।
রাহুল গান্ধীর টুইটারে দুই কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে। শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে, টুইটার ভারতের রাজনীতির ওপর হস্তক্ষেপ শুরু করেছে।
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘শুধু এটি নয়, আপনি জানেন খুব সহজেই রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে। আমার ১৯-২০ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। আপনি তাদের মতামত উপেক্ষা করতে পারেন না। সেটা আপনি করছেন।’
রাহুল গান্ধী ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ৯ বছর বয়সী শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ৪ আগস্ট। সেখানে তিনি মেয়েটির পুরোহিত বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেন, সেখানেই ছবিটি তোলেন তিনি।
পরিবারের অভিযোগ, হামলাকারীরা তাদের অনুমতি ছাড়াই জোর করে শিশুটির লাশ দাহ করতে নিয়ে যাচ্ছিল।
ভারতের শিশু অধিকার সংস্থা টুইটার থেকে ছবিটি সরিয়ে নিতে বলার পর টুইটার রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেয়। ভারতীয় আইনে ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর পরিচয় প্রকাশ করা অপরাধ। ছবির মাধ্যমে পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে বলে টুইটার অভিযোগ তোলে।
৬ আগস্ট টুইটার রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া কংগ্রেসের অনেক নেতাসহ রাহুল গান্ধীর ছবি রিটুইট করা ৫ হাজার টুইটার ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেয়।
রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলে জানান, নরেন্দ্র মোদি সরকারের নিয়োগ করা জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন সেই পরিবার পরিদর্শন করে ২ আগস্ট। এরপর সেই কমিশনও একই ধরনের ছবি পোস্ট করেছে টুইটারে।
কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘বিজেপির একজন সাবেক এমপি, যিনি সেই কমিশনের সদস্য, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র একই কাজ করেছে, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
সমালোচকরা অবশ্য দীর্ঘদিন থেকেই মোদি সরকার ও বিজেপিকে সামাজিক মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ চেষ্টার সমালোচনা করে আসছেন।