চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মাইকেল ডেভোরেট ও জন মার্টিনিস। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে তাদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।
ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, তাদের মধ্যে এই ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ভাগ হয়ে যাবে। বর্তমান বাজারে এর মান প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য, অর্থনীতি ও শান্তি- এই ছয়টি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয় নোবেল। চিকিৎসা ও পদার্থবিদ্যার পর বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য ও শুক্রবার শান্তিতে নোবেলজয়ীদের নাম জানানো হবে। সবশেষে আগামী ১৩ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম। আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে পুরস্কার বিতরণী।
এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘিরে রয়েছে আলোচনা। ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ‘আবরাহাম অ্যাকোর্ডস’ চুক্তিতে ভূমিকা রাখার জন্য এক রিপাবলিকান কংগ্রেসওমেন গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনীত করেন। এর আগে ২০১৮ সাল থেকে দেশ-বিদেশের রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্প একাধিকবার মনোনয়ন পেয়েছেন।
নোবেল পুরস্কার ঘোষণার প্রক্রিয়া খুবই গোপন। সাধারণত মনোনীতদের নাম প্রকাশ করা হয় না। এছাড়া বিচারকদের আলোচনা-পর্যালোচনা পরের ৫০ বছর পর্যন্ত গোপন রাখা হয়। তবে মনোনয়নদাতারা চাইলে নিজেদের প্রস্তাবের কথা প্রকাশ করতে পারেন।