নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার আগে নভেম্বর মাসে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবিতে রংপুরে পদযাত্রা ও স্বারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। রোববার ভারী বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে নগরীর শিক্ষা কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পদযাত্রা বের হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাড. মাহফুজ-উন-নবী ডনসহ অন্যরা।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাঝে মধ্যে বলছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কখন শুরু হবে, কীভাবে শুরু হবে সেটি স্পষ্ট করেনি। সে জন্য আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। আজ (রোববার) রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীবেষ্টিত ৫ জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হলো। আগামী ৯ অক্টোবর গণমিছিল ও গণসমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর নদী-নদীর অববাহিকার ১৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হবে। এসব শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও যদি সরকার দাবি বাস্তবায়নে উদ্যোগী না হয়, তবে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রংপুরকে অচল করে দিতে বাধ্য হব।
তিনি বলেন, সরকার বলছে জানুয়ারিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। কিন্তু নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা হলে সেই কাজ ঝুলে যেতে পারে। সরকার যেহেতু এ প্রকল্প বাস্তবায়নে টাকা দিতে চেয়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ অর্থ দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হোক। এটি যত তাড়াতাড়ি হবে, সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিক বলে আমরা আশ্বস্ত হব। আমরা এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।