বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সারা দেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:০৭

সারা দেশে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ শুরু হয়েছে। ২২ দিনব্যাপী এ অভিযান চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এদিকে, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজগুলো সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর এলাকায় বানৌজা ধানসিঁড়ি বা শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল; কক্সবাজার এলাকায় বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত; খুলনা এলাকায় বানৌজা মেঘনা, চিত্রা বা তিতাস; বাগেরহাট এলাকায় বানৌজা করতোয়া, আবু বকর বা দুর্গম; পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা; বরিশাল এলাকায় বানৌজা পদ্মা, চিত্রা বা তিতাস এবং পটুয়াখালী এলাকায় এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল দিচ্ছে।

সারা দেশে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের প্রথমদিনের খবর তুলে ধরা হলো;

ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা: ভোলার বোরহানউদ্দিনে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের প্রথম দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্যে বাজারে মা ইলিশ বিক্রির দায়ে অভিযান চালিয়ে ৮৫ কেজি ইলিশ মাছ সহ ৩ জনকে আটক করেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন । শনিবার অপরাধ প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপজেলার কুঞ্জের হাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন , উপজেলা নির্বাহি অফিসার রায়হান-উজ্জামান । পরে জব্দকৃত মাছ ৬ টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয় এবং বিক্রয়ের সাথে জড়িত ০৩ জনকে মৎস সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় অভিযান পরিচালনা টিমের সদস্য, সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোাবিন্দ চন্দ্র মন্ডল, ম্যারিন ফিশারিজ অফিসার, থানা পুলিশ, প্যানেল চেয়ারম্যান কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ উপস্থিত ছিলেন।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রায়হান-উজ্জামান জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বরিশাল ব্যুরো: ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমকে সামনে রেখে মা ইলিশ রক্ষায় সারা দেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান। শনিবার সকালে নগরীর ডিসি ঘাট থেকে নৌ র্যালির মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত মীর মোহাম্মদ আসলাম, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নৌ-র‌্যালীতে অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

জেলা প্রশাসক জানান, এ সময়ে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে এবার নদীতে টহলের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো আকাশে ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকায় অনিয়ম ঠেকানো সহজ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অভিযান চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ে নদীতে না নামতে জেলার প্রায় ৬৬ হাজার জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। বরিশালসহ উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো জেলেকে এ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। প্রতিবছরের মতো এবারও মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল হলে দেশে ইলিশ উৎপাদন আরও বাড়বে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইলিশের স্থায়ী প্রজনন ক্ষেত্র নিশ্চিত হবে।

মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী: মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে সকালেই অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা। শনিবার সকাল ১০ টায় থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কিত উপজেলা ট্রাস্কফোর্স গোয়ালন্দের আয়োজনে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট থেকে শুরু করে, চর কর্ণেশন, চর মজলিসপুর, ধোলাইয়ের চর, কলা বাগান চ্যানেলসহ পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সরজমিনে অভিযানে থেকে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে পদ্মা নদীতে কোনো জেলে দেখা যায়নি। তবে নদী পাড়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে অসাধু কিছু জেলে জাল রেখেছিল। প্রশাসনের ট্রলার দেখে তার নদীর সরু গলিতে তাদের মাছ ধরা ট্রলার নিয়ে চলে যায়। এরমধ্যেই একটি মাছ ধরা ট্রলার ফেলে ২-৩ জন জেলে দৌড়ে পালায়। পরে সেই ট্রলার, জাল জব্দ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের দাড়িত্বে থাকা পেটি অফিসার শাহিন আলম, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মেহেদী হাসান অপূর্ব সহ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের দল।

এ বিষয়ে ইউএনও মোঃ নাহিদুর রহমান বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান পরিচালনা চলছে এবং এ অভিযান প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে। এসময় নদীতে থাকা জেলেদের আটকসহ জাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ এবং আটকৃতদের মৎস্য আইন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হবে। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময় পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আজ নদী থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, মাছ শিকারে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও দেড় কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল ফেরিঘাটে এনে পুড়িয়ে ফেলা, মাছগুলো নদীর তীরবর্তী অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং নৌকাটি নৌ পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।

আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারের অভিযান আরও জোরালো করা হবে। যাতে কেউ পদ্মা নদী থেকে নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরতে না পারে। প্রশাসনের পাশাপাশি সচেতন নাগরিকদের সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।

জামাল হোসেন পান্না, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে “মা ইলিশকে ২২ দিন ডিম ছাড়ার সুযোগ দিন, ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন” — এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য অফিস ও সলিমগঞ্জ নৌ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ধরাভাঙ্গা, বড়িকান্দি ও মানিকনগর এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা যায়, সরকার ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে নবীনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আক্কাস আলী এবং সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হায়দার তালুকদার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রায় দেড় লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ করে নদীর পাড়ে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান : দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি অভিযান। প্রতি বছরের মতো এবারও মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ঝালকাঠি জেলায় এ উপলক্ষে জেলা মৎস্য দপ্তরের তৎপরতা দেখা গেলেও বাস্তবে কতটা সফল হবে এ অভিযান তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে প্রশ্ন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আগামী ২২দিন মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে নদীতে টহল জোরদার করা হবে। ঝালকাঠি জেলায় দিনে ও রাতে পৃথকভাবে ৮টি টহল টিম অভিযান পরিচালনা করবে। পাশাপাশি জেলেদের সচেতন করতে আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালানো হয়েছে।

তবে মাঠপর্যায়ে এসব কার্যক্রম কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, প্রতি বছরই অভিযান চললেও অনেক জায়গায় গোপনে মা ইলিশ ধরা ও বিক্রি অব্যাহত থাকে। তাই শুধুমাত্র হাকডাক নয়, কঠোর নজরদারি ও বাস্তবায়নই পারে এই উদ্যোগকে সফল করতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সঠিক বাস্তবায়ন হলে ইলিশের প্রজনন সুরক্ষিত হবে এবং আগামীতে আরও বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। এখন দেখার বিষয় কথায় নয়, বাস্তবে কতটা কার্যকর হয় এ অভিযান।

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশাল বাকেরগঞ্জে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার থেকে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান শুরু হয়। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকার ঘোষিত। এই ২২ দিনে সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয় বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। সরকার ঘোষিত এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনস্বার্থে দিনভর মাঠে দেখা যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ কে।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ সকাল আটটায় সরকার ঘোষিত কর্মসূচি মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে নামেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ। এ সময় তার সাথে অভিযানে অংশ নেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম।

উপজেলা মৎস্য দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন । উপস্থিত ছিলেন বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সকাল আটটায় অভিযান শুরু করে তুলাতলি, পায়রা, কারখানা নদী সহ বিভিন্ন নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজের নেতৃত্বাধীন দলটি। মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে প্রথম দিনেই বেশকিছু জাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ।

মৎস্য দপ্তরের আয়োজিত এই অভিযানে প্রতিটি এলাকায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি জনস্বার্থে তথ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা করতে আহ্বান জানান।

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছেন কর্ণফুলী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আলীম। শনিবার বিকাল ৩টায় উপজেলার কলেজ বাজার ও ব্রিজঘাট বাজারে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মা ইলিশ সংরক্ষণে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় কর্ণফুলী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আলীম বলেন, “৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলবে এবং নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এটি সরকারি নির্দেশনা। সবাইকে তা মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। এই সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় এবং বিনিময় নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।

আইন অমান্যকারীদের শাস্তি কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে বলে অবহিত করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর