মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাচিকাটা গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেনু বেগমের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ গত ২১ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যার মোটিভ শনাক্তে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করে এবং গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে র্যাব-৪ (সিপিসি), মাদারীপুরের একটি টিম ও পুলিশর একটি সমেত শিবচর থানাধীন পাচ্চর এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাজী মাহমুদ রাসেল সবুজ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ জানায়, সে একাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সবুজ বলেন, তাকে ও তার স্ত্রীকে দেয়া চোরের অপবাদের প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
শুক্রবার সবুজের পাচ্চরের বাসায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি (হাসুয়া/কাঁচি) উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় আসামি সবুজের খাটের নীচে লুকিয়ে রাখা ছুরির সাথে রেনু বেগমের বাসা থেকে চুরি হওয়া একটি রাইস কুকার, দুটি মোবাইলের একটি (স্যামসাং বাটন ফোন) উদ্ধার করা হয়। অপর একটি স্মার্ট ফোন (রিয়েলমি) হত্যাকারী সবুজ খুলনায় মোবাইলের দোকানে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিলে, সেটিও খুলনা থেকে উদ্ধার করে পুলিশের আরেকটি টিম।
ভিকটিম রেনুর কানের স্বর্ণের দুল ১৪ হাজার টাকায় শিবচরের একটি জুয়েলারি দোকানে বিক্রি করা হলেও উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও রেনু বেগমের আলমারী থেকে লুট করে নেয়া ১৫৩০/- টাকাও উদ্ধার করা হয় আসামি সবুজের নিকট থেকে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসামি সবুজকে শুক্রবার বিকালে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সে রেনু বেগমকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।