বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেঘনা-ভুলুয়া নদীর তীব্র স্রোতে বিলীন হওয়ার পথে বাজার

  • কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি   
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৩

মেঘনা ও ভুলুয়া নদীর তীব্র জোয়ারের আঘাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের বয়ারচরের তেগাছিয়া বাজারে অবস্থিত একটি পুলিশ ফাঁড়ি ভেঙে পড়েছে খালে। ভাঙনের মুখে রয়েছে তেগাছিয়া নামক একটি বাজারও। ইতোমধ্যে ওই বাজারের ১৫টি দোকান খালে ভেঙে পড়েছে। রামগতি-বয়ারচর সড়কের তেগাছিয়া বাজার অংশ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় মেম্বার শেখ ফরিদ নিজ উদ্যোগে কাঠের সাঁকো তৈরি করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখেন। বর্তমানে ওই বাজারের প্রায় ২ শতাধিক ঘরমালিক ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্ক রয়েছে। বাজারের পশ্চিম পাশের গাবতলীর খালের অংশ ভাঙছে প্রতিনিয়ত। এইভাবে চলতে থাকলে ১ মাসের মধ্যে বয়ারচরের গুরুত্বপূর্ণ এ বাজারটি তলিয়ে যাবে জোয়ারের পানিতে। বাজার ব্যবসায়ীরা রয়েছে চরম আতঙ্কে। কখন কার দোকান ভাঙবে সে চিন্তায় তাদের ঘুম নেই।

স্থানীয়রা জানান, বয়ারচরের দক্ষিণে ভুলুয়া নদী আর পশ্চিমে মেঘনা নদী। এই দুই নদীর পানি চলাচলের জন্য মাঝখানে গাবতলী নামে একটি বড় খাল রয়েছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সকল পানি ভুলুয়া নদী দিয়ে গাবতলীর খালে এসে মেঘনা নদীতে পড়ে। এতে গাবতলীর খালের তেগাছিয়া বাজার অংশে পানির স্রোতের ধাক্কা লেগে তেগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ভেঙে যায়। ভাঙতে শুরু করছে বাজারটিও।

লক্ষ্মীপুর পাউবো কর্তৃপক্ষ ও রামগতির ইউএনও সরেজমিন পরিদর্শন করে তেগাছিয়া বাজার রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ভাঙতে শুরু করছে বাজারটি। ইতোমধ্যে ১৫টি দোকান ও রামগতি-তেগাছিয়া সড়ক ভেঙে পড়ে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ নিজ উদ্যোগে কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখেন।

তেগাছিয়া বাজারের ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম, মো. নুরশাদ, ডাক্তার কামাল উদ্দিন ও সাবু ব্যাপারী জানান, তেগাছিয়া বাজারটি বয়ারচরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ছিল একটি পুলিশ ফাঁড়ি। আশেপাশে প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। মেঘনা ও ভুলুয়া নদীর প্রচণ্ড জোয়ারের আঘাতে পুলিশ ফাঁড়িটি ভেঙে যায়। পরে সেখান থেকে পুলিশকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন বাজারটি মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। যেকোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারটি ভেঙে যাবে। তাই দ্রুত ব্লক দিয়ে বাজার রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি।

চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শেখ ফরিদ বলেন, প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে মেঘনা ও ভুলুয়া নদীর পানির স্রোতে গাবতলী খালের বিভিন্ন এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। গত ৩ মাসে তেগাছিয়া বাজারের প্রায় দেড়শ ফুট ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। এতে ওই বাজারের ১৫টি দোকান ভেঙে গেছে। বর্তমানে বাজারটি ভাঙনের মুখে। কিছুদিন আগে একটি পুলিশ ফাঁড়ি তলিয়ে গেছে খালে।

রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, নদীর জোয়ারে তেগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ঘর ভেঙে যাওয়ায় আমরা পুলিশ ফাঁড়ির আসবাবপত্র আপাতত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে রেখেছি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর