কুমিল্লার পদুয়ার বাজার ইউটার্নে সড়ক দুর্ঘটনায় চার জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ পরিবহনের বাসটিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রোববার দুপুরে ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বাসটির চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, নূরজাহান হোটেল থেকে উল্টো পথে আসা ঘাতক বাস হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস নং- ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ বাসটি দেবিদ্বার উপজেলার খাদ ঘর থেকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার ইউটার্নে লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাস ও লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নিহতের ভাই আবুল কালাম। এছাড়া সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন থেকে সকল যানবাহন ঘুরে আসতে হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান।
তিনি জানান, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকাটি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ ও ভারতের জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক একটি সমন্বিত সভা রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখান থেকে সমন্বিত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত এই ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নে সিমেন্ট বাহি লরির নিচে প্রাইভেট কার ছাপা পরে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়। এছাড়াও একই সময়ে ওই লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে সিএনজির তিন যাত্রী আহত হয়। নিহতারা হলেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী(৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম(৬৫), তার৷ বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০)ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম(৪৫)। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম।