কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে দোকানঘর জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত এই যুবলীগ নেতার নাম আরাধণ চন্দ্র বণিক। তিনি মধ্য অষ্টগ্রামের নিতাই চন্দ্র বণিকের ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
ভুক্তভোগী আবু জালাল মো. জাবের উপজেলা সদরের পশ্চিম অষ্টগ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহারের ছেলে। অপর ভুক্তভোগী ওয়াজ উদ্দিন মধ্য অষ্টগ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে।
ভুক্তভোগী আবু জালাল মো. জাবেরের অভিযোগ, তার বড়ভাই একেএম হারুনের কাছ থেকে ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর আরাধন চন্দ্র বণিক .৫০ শতক জায়গা কিনেন। কিন্তু দলীয় প্রভাবে তিনি আবু জালাল মো. জাবেরের জায়গা থেকে আনুমানিক .৩৪ শতক জায়গা অতিরিক্ত দখল করে নেন। এমনকি সে জায়গায় থাকা দোকানের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে আকৃতিও পরিবর্তন করেন আরাধন চন্দ্র বণিক।
অন্যদিকে মো. ওয়াজ উদ্দিনের অভিযোগ, যুবলীগ নেতা আরাধন চন্দ্র বণিক বিগত হাসিনা সরকারের আমলে অষ্টগ্রাম বড়বাজারে তার .৫৪ শতক জায়গায় করা দোকানঘর থেকে তাদের উচ্ছেদ করে দখল করেন। এখনো তার কাছ থেকে এই জায়গা ও দোকানঘর উদ্ধার করা যায়নি। গত বছরের ২০ আগস্ট অষ্টগ্রাম থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি যুবলীগ নেতা আরাধন চন্দ্র বণিক। বর্তমানে পলাতক আসামি হয়েও প্রশাসনসহ বিভিন্ন শক্তিকে ব্যবহার করে তিনি দোকানঘরের জবরদখল ধরে রেখেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আবু জালাল মো. জাবের ও মো. ওয়াজ উদ্দিন।
এ পরিস্থিতিতে দোকানঘর উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।
এ বিষয়ে আরাধণ চন্দ্র বণিক জানান, তিনি রাজনৈতিক কোন দলের পদ-পদবীতে নেই। ওয়াজ উদ্দিনসহ এই চক্রটির ভয়ে তিনি নিজেই এলাকা ছাড়া। তাদের সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওয়াজ উদ্দিনের বাবা আব্দুল হেকিমের কাছ থেকে ২৫ বছর আগে তার বাবা আধা শতাংশ কিনেছিলেন। কেনার পরে বাজারে দুইবার আগুন লেগেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে দুইবার নতুন করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত ৭ বছর আগে তিনতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে দুই তলা সম্পন্ন করেছি। এরমধ্যে কেউ কোনদিন এমন দাবি বা অভিযোগ করেনি। কিন্তুু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে এই চক্রটি বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানি করছে এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না পেয়ে দোকান ভাঙচুর এবং দখল করে তালা পর্যন্ত মেরেছে। এখন তারাই পাল্টা অভিযোগ করছে।