তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১১আগস্ট (সোমবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মনিজা খাতুন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সোনারগাঁও, জোবিঅ-সোনারগাঁও আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মিরেরটেক, হাতুরাপাড়া এবং নয়াপুর এলাকার ০৪ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ২.৫ কি.মি. এলাকার প্রায় ৯০০ টি অবৈধ আবাসিক বার্নার ও ০১ টি অবৈধ চুনা ভাট্টির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ২" ডায়া বিশিষ্ট ১০০ ফিট, ১" ডায়া বিশিষ্ট ৪০ ফিট এমএস পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও প্লাস্টিক পাইপ উৎসস্থলে বিনষ্ট করা হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট হতে কিলিং/ ক্যাপিং করা হয়েছে।
একই দিনে, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ওমর ফারুক মুন্সিগঞ্জ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ -মেঘনাঘাট আওতাধীন ভাটের চর (নতুন রাস্তা), বালুয়াকান্দি, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অবৈধ চুন কারখানা ও হোটেল রেস্টুরেন্ট এ অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ২টি চুন কারখানা (মোট ৮টি ভাট্টি বিশিষ্ট) ও ভাটের চর নতুন রাস্তায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় চা'য়ের দোকানের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং একটি রেস্টুরেন্ট এর মালিক না থাকায় রেস্টুরেন্ট সীল করা হয়েছে। এ সময়, এমএস পাইপ ২" ব্যাসের ২০ ফুট (আনুমানিক)। স্টার বার্ণার ৫ টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। ভাট্টির মালিক/জমির মালিকের বিরুদ্ধে এতদবিষয়ে গজারিয়া থানায় এফআইআর (FIR) দায়ের করা হবে। অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক্সক্যাভেটর মেশিনের মাধ্যমে স্থাপনা ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স গজারিয়া এর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উক্ত অভিযানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদের বিপরীতে ১৬,০০০ ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে এবং সাশ্রয়কৃত গ্যাসের আনুমানিক মূল্য ২,৬০,৯০০/- টাকা (দৈনিক ভিত্তিক)।
এছাড়া, জনাব জনাব মিল্টন রায়, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -৪ আওতাধীন গুলশান ও বনানী বিক্রয় শাখা, কড়াইল বস্তি এলাকার ০৬ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ১০৫০ টি অবৈধ আবাসিক ডাবল বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, প্রায় ৫৬০ ফুট পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা - ভালুকা ও জোবিঅ- ভালুকা কর্তৃক বিশেষ অভিযানে বকেয়ার জন্য ০১টি আবাসিকের ০২ টি ডাবল চুলা ও অবৈধ/অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহার করায় ০৪ টি আবাসিকের ৬টি ডাবল চুলাসহ মোট ৫টি আবাসিকের ৮টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ৬৭৩২০.০০ টাকা তাৎক্ষণিক বকেয়া আদায় করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব সিমন সরকার, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -চন্দ্রা, জোনাল বিক্রয় অফিস-চন্দ্রা আওতাধীন সুরাবাড়ি, কাশিমপুর এবং দেওয়ান মার্কেট, কাশিমপুর, গাজীপুর এলাকার ০৩ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ১৬০ টি বাড়ির ৪২০ টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ ২১০ ফুট, ১ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ ২৫০ ফুট, প্লাষ্টিক ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের থ্রেট পাইপ ১৫০ ফুট ও ১২ টি সম্পুর্ন অবৈধ রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১১ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৬টি শিল্প, ৩২৫টি বাণিজ্যিক ও ৬৩,৯৬৫টি আবাসিকসহ মোট ৬৪,৫৮৬টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২২,৯৯৩টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৪১.৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।