খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় বিএনপি ও যুবদলের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের শুক্রবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বিএনপি নেতা আবদুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপির সমর্থক শফিকুল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এসআই রিকাবুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের দিন সেনা সদস্যরা পাঁচজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিল। তাদের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। পরে শুক্রবার চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন বাদী হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
বিএনপির প্রতিবাদ
খুলনা মহানগর বিএনপি এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে।
দলটির অভিযোগ, কুয়েটে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত গুপ্ত একটি ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে হয়েছে।
বিএনপি নেতারা বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় স্পষ্ট যে, ছাত্রদল সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছিল। অথচ পুলিশ তদন্ত ছাড়াই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে।’
বিএনপি দাবি করেছে, হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপি নেতা আবদুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও সমর্থক শফিকুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যা নিন্দনীয় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিএনপির বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।