মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধে বাস্তবসম্মত আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গত বুধবার হস্তান্তর করা হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের ২৫ নম্বরে রয়েছে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন সংক্রান্ত অংশটি।
মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের প্রস্তাবে বলা হয়, ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিষয়ে একটি বাস্তবানুগ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে নিবিড় ও ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
‘ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারার অনুরূপ একটি বিধান উক্ত কার্যবিধির ২৩ অধ্যায়ে (দায়রা আদালত কর্তৃক বিচার) সন্নিবেশ করা। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারায় উল্লিখিত জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ। মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা বলে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ থাকলে (বিশেষত, এজাহারে অস্বাভাবিক সংখ্যক অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম থাকলে), অপরাধ সংঘটনে কোনো আসামির সুনির্দিষ্ট কোনো ভূমিকার উল্লেখ এজাহারে না থাকলে সেই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে না এই মর্মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুলিশের প্রতি নির্দেশনা জারি।’
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ‘মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা বলে সন্দেহ করা যায় এরূপ মামলায় কোনো আসামি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হলে পাবলিক প্রসিকিউটর বা ক্ষেত্রমতে, কোর্ট ইন্সপেক্টর বা কোর্ট সাব-ইন্সপেক্টর, আদালতে ওই আসামির জামিনের বিরোধিতা করবে না এই মর্মে আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাবলিক প্রসিকিউটরদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান।’