ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ‘সম্মানজনক’ পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাবি উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে সোমবার ঢাবি উপাচার্যের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।’
সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
এ ছাড়া অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই, অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।’
এ ছাড়া ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলেও জানান উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান উপাচার্য।
ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপাচার্য কোনো উত্তর না দিয়ে স্থান ছাড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন।