বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান চলাকালীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে থাকা সব তথ্য (ডাটা) আলাদাভাবে অক্ষুণ্ন অবস্থায় সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে তদন্তকাজে সহযোগিতা করতে দেশের সব মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট প্রভাইডারদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় ৭৫ জনের সম্পদ বিবরণী ট্র্যাইব্যুনাল থেকে চাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আজ একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ সংক্রান্ত কোনো আদেশ ট্রাইব্যুনাল থেকে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে সংবাদটির প্রতিবেদক আলী ইব্রাহিমকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ২০ জানুয়ারি হাজির হতে স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল বৃহস্পতিবার এসব আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এসব আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
ওই সময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আদেশ ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষকে ডাকতে ও যেকোনো ডকুমেন্টস চাইতে পারার আইনি এখতিয়ার রাখেন। তবুও আজ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে আদেশ নিয়েছেন প্রসিকিউশন।
ব্রিফিংয়ে অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
পরবর্তী সময়ে জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জাজ্জ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার হচ্ছে।