বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘোষণার পর গজারিয়ায় নৌ ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান শুরু

  • গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি   
  • ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ২৩:২৭

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লক্ষ্য করে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনায় কয়েক দিনের মধ্যেই যৌথ বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে পুলিশ, র‍্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ' মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল চারটার দিকে র‍্যাব-১১ ও পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি মেঘনা নদীর চৌদ্দকাউনিয়া ঘাটে এসে থামে। তারপর তাদের ট্রলার ও স্পিডবোটে করে গুয়াগাছিয়ার দিকে রওনা হতে দেখলাম'

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান শুরু করি আমরা। পুলিশ, র‍্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড মিলিয়ে মোট দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নিয়েছে। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আপনাদের জানানো হবে'।

বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন,' ওই এলাকায় পুলিশের তদারকি কম থাকার সুযোগে কয়েকটি নৌ ডাকাত বাহিনী মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন হওয়ায় তারা খুশি নয়। গতকালের ঘটনায় সাথে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর লোকজন জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ'।

স্থানীয়দের বক্তব্যঃ স্থানীয় বাসিন্দা সিয়াম হোসেন বলেন, ' সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন নদী থেকে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনতে পাই আমরা। এসময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে যে যার ঘরে আশ্রয় নেয়। ঘটনার একদিন পরেও ভয়ে স্থানীয়রা ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না'।

থানা থেকে লুট করা অস্ত্রের ব্যবহারঃ এদিকে গতকাল গোলাগুলির সময় নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর সদস্যরা গত বছরের পাঁচ আগস্ট থানা থেকে লুট করা অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সম্প্রতি এই নৌ ডাকাত বাহিনীর হাতে খুন হয় প্রতিপক্ষ দলের তিন সদস্য। তারা হলোঃ ডাকাত সর্দার বাবলা, স্যুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। এসব হত্যাকাণ্ডে থানা থেকে লুট করা চাইনিজ রাইফেল ব্যবহার করার প্রমাণ পায় পুলিশ। এছাড়াও চলতি বছরের ১৩মে ভোরে গুয়াগাছিয়ায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর এক সদস্যের বাড়ি থেকে ৫১ রাউন্ড তাঁজা গুলি উদ্ধার করা হয় যার অধিকাংশ ছিল চাইনিজ রাইফেলের গুলি।

মামলা দায়েরঃ পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ' গতকালের ঘটনায় একটি মামলা হবে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন'।

প্রসঙ্গতঃ সোমবার (২৫ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৪/৫ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এই ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা এলাকায়।

এ বিভাগের আরো খবর