সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা তদন্তে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এটি ঘটনা, দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, তা তদন্তের পরই জানা যাবে।’
সচিবালয়ে পরিদর্শনের আগে বৃহস্পতিবার উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভবনের ছয় তলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে সাত ও আট তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের ফায়ার সার্ভিসে রাত একটা ৫২ মিনিটে খবর দেয়া হয়।
‘তারা একটা ৫৪ মিনিটে কাজ শুরু করে। সকাল আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ফায়ার ফাইটারের একজন শাহাদাত বরণ করেছেন। তিনি একটি পাইপ নিয়ে সচিবালয় থেকে বের হয়েছিলেন। এ সময় একটা ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে তাকে আহত করেন। পরে তিনি মারা যান।
‘তার সঙ্গে আরও দুই থেকে তিনজন আহত হয়েছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুনের ঘটনা তদন্তে আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিচ্ছি। ক্যাবিনেট (মন্ত্রিপরিষদ) সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে অলরেডি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাই পাওয়ারের একটি তদন্ত কমিটি করার জন্য বলে দেয়া হয়েছে।’
কোনো নাশকতা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তদন্ত করার আগে আমরা এটা বলতে পারব না। ইনভেস্টিগেশনের পর আমরা বলতে পারব।
‘তদন্ত কমিটি পাঁচ সদস্যের হতে পারে, সাতজন হতে পারে, নয়জন হতে পারে, ১১ জনও হতে পারে। এটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। পরে জানানো হবে।’
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বুধবার মধ্যরাতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার খবর পায় রাত ১টা ৫২ মিনিটে। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি ইউনিট কাজ করে। পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
সবশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিল। আজ সকাল আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে ছয়টি মন্ত্রণালয় ও একাধিক বিভাগের অফিস রয়েছে।
সেগুলো হলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।