রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখী বিএনপির তিন সংগঠনের পদযাত্রা রামপুরা ব্রিজের কাছে আটকে দিয়েছে পুলিশ। পরে তিন সংগঠনের পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে মিছিলটি সামনে এগুতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রওনা হয়ে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মিছিলটি রামপুরা ব্রিজে পৌঁছলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে। এ সময় তিন সংগঠনের নেতাদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানায় পুলিশ।
পরে আন্দোলনকারীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে স্মারকলিপি দিতে ভারতীয় হাইকমিশনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন- জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এবং ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাছির।
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে রোববার সকালে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পদযাত্রা শুরুর আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ও গণমাধ্যম মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানান তারা।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বর্তমানে যা করছে তা সরাসরি আগ্রাসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রতিবাদ মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ভারত সরকার) বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করেন না। আপনারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।’
রিজভী দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্য প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আকাশ ও সমুদ্র থেকে স্থল পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে কীভাবে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়। আমাদের স্মার্ট সামরিক বাহিনীতে যোগ্য সদস্য রয়েছে।’
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে থাকে। তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করেন। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।