বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমান্তের ওপার থেকে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ২২:১৭

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বসে আছে। ওখান থেকে নতুন নতুন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে তারা একেকটা ঘটনা ঘটিয়ে বিশ্বকে দেখাতে চায় যে বাংলাদেশ মৌলবাদীর দেশ হয়ে গেছে, সংখ্যালঘু ভাইদের নির্যাতন করা হচ্ছে। ভারতের পত্র-পত্রিকাগুলোতে, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে এমনভাবে লেখা হচ্ছে যেন বাংলাদেশে এখন এ ধরনের সব নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটছে। অথচ বাস্তবে তা নয়।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। সীমান্তের ওপার থেকে নতুন নতুন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অর্জন ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়িতে শুক্রবার বিকেলে ছাত্র কনভেনশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে এই কনভেনশনের আয়োজন করে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও ছাত্র কল্যাণ পরিষদ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তোমাদের (ছাত্রদের) প্রতি একটাই অনুরোধ, আমরা যেটা অর্জন করেছি সেটা যেন বৃথা না যায়। সীমান্তের ওপারে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বসে আছে। ওখান থেকে নতুন নতুন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

‘প্রতি মুহূর্তে তারা একেকটা ঘটনা ঘটিয়ে সেখানে ফলাও করে প্রচার চালিয়ে বিশ্বে দেখাতে চায় যে বাংলাদেশ মৌলবাদীর দেশ হয়ে গেছে, এখানে সংখ্যালঘু ভাইদের নির্যাতন করা হচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের পত্র-পত্রিকাগুলোতে, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে এমনভাবে লেখা হচ্ছে যেন বাংলাদেশে এখন এই ধরনের সব নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটছে। আসলে তা নয়।

‘আমাদের এই আনন্দে থাকার অবকাশ নেই যে, আমরা জিতে গেছি; সব হয়ে গেছে। আমাদের মাথার ওপর সেই খড়্‌গ এখনও আছে। আবার অন্ধকারে নেয়ার জন্য ওরা চারদিক থেকে চেষ্টা করছে। এজন্য খুব সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। কোনোরকম হঠাকারিতা, কোনোরকম বিশৃঙ্খলা রুখে দিতে হবে। আর এটা হচ্ছে একটা বড় কাজ।’

ছাত্রসমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি তোমাদেরকে ভারাক্রান্ত করতে চাই না। কারণ নিঃসন্দেহে তোমরা নতুন স্বপ্ন দেখছো, নতুন পৃথিবী দেখছো। সবচেয়ে বড় বিষয়টা তোমরা চিন্তা করছো- এর পর কী? হ্যাঁ, এটাই তোমাদের চিন্তা করতে হবে। এখন এই বাংলাদেশকে তৈরি করা, দেশটাকে গড়ে তোলা।’

ফখরুল বলেন, ‘ওরা (আওয়ামী লীগ) সব শেষ করে দিয়ে গেছে। কোথাও কোনো অবশিষ্ট রাখেনি। একেবারে লুটপাট করে গেছে। অর্থনীতি নেই, ব্যাংক লুট, সব জায়গায় লুট, ঘুষ, দুর্নীতি সমাজটাকেই শেষ করে দিয়ে গেছে।

এ বিষয়গুলোকে আমাদেরকেই বন্ধ করতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগণ যদি রুখে দাঁড়ায় কোনো শক্তি নেই যে অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে পারে। আমার অনুরোধ- তোমরা ছাত্র, তোমরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছো, তোমরা অংশীদার, তোমরা এই বিষয়গুলোর দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবে। কেউ যেন আমাদের অর্জিত সম্পদ কেড়ে না নিতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

হাসিনা পলাইছে- এই কথাটা চালু করতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমার নাতনিও বলে, হাসিনা পলাইছে, জিজ্ঞাসা করলে বলে- হাসিনা পলাইছে। হাসিনা পালিয়েছে না, ‘হাসিনা পলাইছে’, এই পলাইছে কথা চালু করতে হবে। এটা এজন্য বলা দরকার- এই ধরনের ফ্যাসিস্ট, নির্যাতনকারী, নিপীড়নকারী, খুনি, হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ভীষণ কষ্ট পাই যখন দেখি যে আমার ছেলেরা নিজেরা মারামারি করছে। যখন তুমি এতো বড় একটা বিজয় অর্জন করলে, একটা ফ্যাসিস্টকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিলে, একটা ইতিহাস সৃষ্টি করলে; সেই সংঘাত আমাদেরকে দেখতে হবে যে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মোল্লা কলেজের ছাত্ররা মারামারি করে রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে? এটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আবারও খুব ভীত হই যখন দেখি ইসকনের নামে, ধর্মের নামে একজন আইনজীবী নিহত হয়ে পড়ে থাকেন রাস্তায়। এই বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাইনি। আমরা তো একটা নতুন জায়গায় এসেছি, নতুন স্বপ্ন দেখছি, নতুন দিগন্ত দেখছি; সেখানে এই ধরনের ঘটনা আমরা দেখতে চাই না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ, জীবনের প্রায় শেষ সময়ে এসে গেছি। একটাই অনুরোধ- আমরা যেটা অর্জন করেছি সেটা যেন বৃথা না যায়।’

ছাত্র সমাজকে ভ্যানগার্ড হিসেবে অভিহিত করে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ছাত্রদের কাজ করার পরামর্শ দেন।

আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়ক মিলন মাহমুদের সভাপতিত্বে এই কনভেনশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক শরিফ উদ্দিন আহমেদ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসেন শাহরিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমির হোসেন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরফান আলী, অধ্যাপক এসএম মাহবুবুর রহমান, তেজগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যাপক সোলায়মান আলী, বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য জেড মূর্তজা চৌধুরী তুলা, ঠাকুরগাঁও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল, যুবদলের কামাল আনোয়ার আহম্মেদ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, মহানগর বিএনপির পাপ্পু সরকারসহ ঠাকুরগাঁওয়ের ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর