সিলেট নগরের শাহপরান এলাকায় দু’পক্ষে দ্বন্দ্বের জের ধরে সৃষ্ট সংঘর্ষে বিলাল আহমদ মুন্সী নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে বিলালের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। বিকেল ৩টায় শাহপরান গেটে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে স্থানীয় লোকজন ও যুবদল নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সোমবার রাত ১০টার দিকে শাহপরান থানাধীন বাহুবল এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন বিলাল। তিনি শাহপরান বাহুবল আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল এলাকার স্কুলছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র ইস্যু নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এলাকার কিছু লোক দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে এই বিরোধে জড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরই জের ধরে সাকেরের পক্ষ নেন যুবদল-ছাত্রদলের সিলেটের শাহজালাল উপশহর গ্রুপের কিছু নেতাকর্মী।
সোমবার রাত ১০টার দিকে যুবদলের উপশহর গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী সশস্ত্র অবস্থায় বাহুবল এলাকায় যান। এ সময় তারা স্থানীয় একটি পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যুবদল কর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহতের হাতের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাদ আসর তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, ময়না তদন্তের পর মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে শাহপরান বাজারে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী।