বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাস-রিজভীসহ ১৬৭ নেতাকর্মীর অব্যাহতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:২১

রাজধানীর পল্টন মডেল থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপিন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৬৭ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন– জাতীয়তাবাদী মহিলার দলের সভাপতি আফরোজ আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মিডিয়া ইউং শামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমুনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায়, যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মনজু, ঢাকা দক্ষিণের ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ প্রমুখ।

মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সম্প্রতি এই মামলায় তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় দায় থেকে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। আজ আদালত এ প্রতিবেদন গ্রহণ করে অভিযোগের দায় থেকে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় দেরিতে হলেও আমরা সুবিচার পেয়েছি।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে শো-ডাউন করে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। এরপর নবী উল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর দুইটি মিছিল শো-ডাউন করে একই দিক থেকে আসতে থাকে এবং সর্বশেষ মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ৮-১০ হাজার জনের একটি মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। তারা নয়াপল্টনে ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শো-ডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদের রাস্তার এক লেন ছেড়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়।

আরও বলা হয়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ জনতাবদ্ধে বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়পল্টনে ভিআইপি রোডে হকস বে নামে গাড়ির শো রুমের উত্তর পাশে রাস্তায় পুলিশের একটি সরকারি ডাবল কেবিন পিকাপ পুড়িয়ে আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। সরকারি কাজে বাধা দিয়ে অতর্কিতে পুলিশকে আক্রমণ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আসামিরা রাস্তার পাশে ডিউটিরত এসির (পেট্রোল-মতিঝিল) সরকারী মিটসুবিসি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পোড়া গাড়ির আনুমানিক মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। আসামিদের নিক্ষেপিত ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আসামিরা নাইট এ্যাগেল মোড় থেকে পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং পর্যন্ত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ জনগণের উপর আক্রমণ করে প্রাইভেটকারসহ রাস্তায় আটকে পড়া আরও অনেক গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর