ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে নিরস্ত্র মানুষের ওপর একাই ২৮টি গুলি চালান তৌহিদুল ইসলাম ফরিদ। চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এই সন্ত্রাসীকে অবশেষে ধরা পড়েছে।
তৌহিদুল ইসলাম ফরিদকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন। তিনি বলেন, পাঁচ হাজার টাকার চুক্তিতে ছাত্র-জনতার ওপর তৌহিদুল একাই ২৮টি গুলি ছোড়েন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর থানার কমলনগর এলাকা থেকে তৌহিদুলকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, তৌহিদুল চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যাসহ অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে। তিনি চান্দগাঁও থানার শমশের পাড়ার বড় পুকুরপাড় এলাকার মনু সওদাগর বাড়ির মো. সেকান্দরের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সাতক্ষীরার কমলনগর এলাকা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরের চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন তৌহিদুল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন তিনি।’
রইছ উদ্দিন আরও বলেন, ‘তৌহিদুলের ব্যবহৃত অস্ত্রটি পাকিস্তানি শুটারগান এবং তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে। তার ব্যবহৃত এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে অভিযান চলমান।
‘তৌহিদুলের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি একজন পেশাদার সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি হত্যাসহ অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে।’
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক ও মহিউদ্দীন ফরহাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর জন্য আমার সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকার চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলাম।’