বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক তিন সিইসিকে তলব করবে নির্বাচন সংস্কার কমিশন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ২১:১৪

সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যালোচনা করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে। এজন্য গত তিন নির্বাচনের সময়ে দায়িত্ব পালন করা সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে তলব করে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে।

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যালোচনা করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, এজন্য গত তিন নির্বাচনের সময়ে দায়িত্ব পালন করা সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে তলব করে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন পরিকল্পনার কথা জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।

সাংবাদিকরা জানতে চান- গত তিন কমিশনকে সংস্কার কমিশন ডাকবে কিনা, তাদের সময় যে অনিয়ম হয়েছে তা শুনবে কি-না।

জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সাবেক তিন কমিশন নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা আবার পর্যালোচনা করছি। নির্বাচনি অপরাধগুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। আর এটা যাতে ভবিষ্যতে না হয়, সেটা নিয়েও আমরা পর্যালোচনা করেছি।

‘গত তিন নির্বাচনে কী অনিয়ম হয়েছে, তারা কেন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেননি- গণমাধ্যমও যেন সেই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে। আমরাও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। গত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করে ওই শিক্ষা নিয়ে আমরা সংস্কার প্রস্তাব করব।’

কেন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনি তা গত তিন কমিশনকে ডেকে আপনারা জানতে চাইবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ওনারা কি আসবেন? আমার তো মনে হয় না। আমরা বিবেচনায় নেব।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড হয়েছিল। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সেই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

সিইসি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আসন পেয়েছিল পাঁচটি। আর জোটের হিসাবে পেয়েছিল সাতটি।

অন্যদিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি। ভোটে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে অধিক ভোট পড়ার হার দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল ওই কমিশনের বিরুদ্ধে।

এ বিভাগের আরো খবর