গণমাধ্যমে গত ১৬ বছর কার কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল। তিনি বলেছেন, কোন সাংবাদিক এবং কোন গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছে, কারা ফ্যাসিবাদী আচরণ করেছে এবং দুটি বিতর্কিত নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে- সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোন কোন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, কোন কোন গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরি হয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিটি প্রেস কনফারেন্স প্রমাণ ধরে কোন সাংবাদিকের ভূমিকা কেমন ছিল। সেটা ধরে পদক্ষেপ নেবে সরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৫-১৬ বছর আমাদের ভয়েস কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। কাউকে শিবির ট্যাগ দিয়ে, কাউকে বিএনপি ট্যাগ দিয়ে... এ ধরনের পরিবেশ আমরা যেন না করি। আমরা যেন আমাদের অ্যাটিচিউডে ফ্যাসিবাদী না হই। আমরা যেন আরেকজনের ভয়েসটা কেড়ে না নেই। বাংলাদেশে যারা ক্রিটিসাইজ করে তাদের ভয়েস আমরা যেন কেড়ে না নেই। আমরা প্রত্যেকটা ভয়েসকে ওয়েলকাম জানাই।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘শাপলা চত্বরে হেফাজতের যে কিলিং হয়েছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এগুলো বের করবো। ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইটস গ্রুপগুলোকে আমরা ইনভাইট করবো। তারা যাতে এসে ইনভেস্টিগেশন করে যে দেশে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে।
‘প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়ে তারা অনেক স্টেটমেন্ট দিয়েছে। তাদের স্টেটমেন্টকে আমরা ওয়েলকাম জানাই। কিন্তু গত ১৫ বছরে কী ধরনের ভয়াবহ জার্নালিজম হয়েছে সেটা জানুক।’
ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই-এর আহ্বায়ক সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন শিশিরের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র প্লাবন তারিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক এস এম রাশেদুল ইসলাম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চিফ রিপোর্টার আব্বাস উদ্দিন নয়ন, গবেষক ও শিক্ষক মাহাবুব আলম প্রমুখ।