ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসকরা ওই নারীকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করেছেন।
নাক-কান-গলা বিভাগে চিকিৎসাধীন নুরুল আলম বলেন, ‘আমার মুখে টিউমার হয়েছে। আমি ঢামেক হাসপাতালের এই ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছি। এই মহিলা ডাক্তার ৩০ হাজার টাকা কন্ট্রাক্টে আমাকে অস্ত্রোপচার করিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
‘ইতোমধ্যে তাকে ২৮ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। ওই মহিলা আজ বাকি দুই হাজার টাকা নিতে আসেন। এ সময় তার আচার-আচরণ দেখে ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। পরে তারা ওই নারীকে জেরা করেন। চিকিৎসকরা পরে তাকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করেন।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে ভুয়া চিকিৎসককে আনসার সদস্যরা আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একেক সময় একেক ধরনের কথা বলেন। কখনও বলেন- আমি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র শিক্ষার্থী। আবার বলেন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী।
পাপিয়া বলেন, ‘আমি না বুঝে ওই রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় স্বামী জসিমের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকি। আমি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’
ভুয়া এই চিকিৎসককে পরে শাহবাগ থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।