কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ উপকূল সাগরের জোয়ারে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে যাচ্ছে পশ্চিম বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ।
এমন পরিস্থিতিতে দ্বীপের উপকূলের ৪০ হাজার মানুষ আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছে। এ ভাঙন থেকে বসতবাড়ি রক্ষার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে সাগরের পাড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবদুল মান্নান, সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল, নুরুল আমিন, ছেনোয়ারা বেগম, মৌলভী জামাল উদ্দিন, মৌলভী মো. আবদুল্লাহ ও রহমত উল্লাহ রানাসহ অনেকে।
মানববন্ধনে সাবেক মেম্বার মো. ইসমাইল বলেন, ‘১০৬ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা ছিল খুব টেকসইভাবে, কিন্তু টেকসই বেড়িবাঁধ না করার কারণে জোয়ারের পানির ধাক্কায় ব্লক ধসে যাচ্ছে। ১০৬ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ যদি দুর্বল হয়, তাইলে তারা টাকা নয়ছয় করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে নাই।
‘আমাদের প্রাণের দাবি থাকবে যদি শাহপরীর দ্বীপ রক্ষা করতে চাই। পুনরায় সংস্কার করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। নাইলে বাকি ৪০ হাজার মানুষের বসতি থাকবে না।’
সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, ‘সাগরের জোয়ারে তোড়ে দ্বীপের পশ্চিম পাড়ার বেড়িবাঁধ ভাঙান দেখা দিয়েছে, যার ফলে দ্বীপের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। এভাবে বাঁধের ভাঙন অব্যাহত থাকলে উপকূলের মানুষের বসতি সাগরে তলিয়ে যাবে।
‘তাই সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দ্বীপবাসীর অনুরোধ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ভাঙন রোধে বাঁধ রক্ষায় সংস্কার করা হোক। অন্যথায় অতীতের মতো সাগরে তলিয়ে যাবে হাজারো মানুষের বসতবাড়ি।’
শাহপরীর দ্বীপের সাবেক নারী ইউপি সদস্য ছেনোয়ারা বেগম বলেন, ‘১০৬ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণে আমাদের ৪০ হাজার মানুষের মনে স্বস্তি ছিল। এখন কিন্তু স্বস্তির চেয়ে আতঙ্কটা বেড়ে গেছে।
‘টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ার কারণে ব্লক ধসে গেছে এবং জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে শতাধিক বাড়িঘরে পানি ঢুকছে। বর্তমান সরকারপ্রধানের কাছে আমাদের দাবি, বেড়িবাঁধ উঁচু করে নির্মাণ করতে হবে।’
এদিকে ২০১২ সালের ২২ জুলাই জোয়ারের তোড়ে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়ার বেড়িবাঁধের তিন কিলোমিটার সাগরে বিলীন হয়ে যায়। পরে দীর্ঘ এক যুগ পর বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলেও সম্প্রতি ফের ভাঙান দেখা দিয়েছে।