ঢাকার ধামরাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও হত্যা মামলার আসামি এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-৪ (সিপিসি-২)-এর কোম্পানি কমান্ডার জালিস মাহমুদ খাঁন বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সাভার মডেল থানার ব্যাংক কলোনি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান (৫৪) ও কুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি হাফিজুর রহমান (৪৫)।
র্যাব জানায়, গতকাল রাতে সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও হত্যা মামলার আসামি লুৎফর রহমান ও হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ৫ আগস্ট তাদের নেতৃত্বে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এ ঘটনায় ধামরাই পৌরসভা এলাকায় বেশ কয়েকজন ছাত্র-জনতা নিহত হন।
নিহত ছাত্র-জনতার পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই হত্যা মামলার পর থেকে আসামিরা সাভারের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেন। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ভূমি দখলসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে।
র্যাব-৪ (সিপিসি-২)-এর কোম্পানি কমান্ডার জালিস মাহমুদ খান জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন প্রভাব বিস্তার করে আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।