বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

  • নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি   
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে আব্দুল্লাহ (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত আব্দুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে নগদ অর্থ চুরির অভিযোগ ওঠে। এর জের ধরে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে সলিমগঞ্জ বাজার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে মাস্ক পরা অবস্থায় আব্দুল্লাহকে আটক করে কয়েকজন স্থানীয়। তারা প্রথমে তাকে মারধর করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়।

পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ফাঁড়িতে নেওয়ার পরও নির্যাতন অব্যাহত থাকে। তার হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয় এবং কপালে আঘাত করা হয়। আরও জানা যায়, নবীনগর থানার ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অবহিত না করেই চারদিন ফাঁড়িতে আটক রাখা হয় তাকে। এ সময়ে অন্য আসামিদের জেলা হাজতে পাঠানো হলেও আব্দুল্লাহকে গোপনে ফাঁড়িতেই আটকে রাখা হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে সলিমগঞ্জ অলিউর রহমান জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তিনদিন চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর নবীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিনসহ চারজনকে নামীয় আসামি এবং আরও ২০–২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আব্দুল্লাহকে নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন।

মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ জনতা সোমবার সকালে সলিমগঞ্জ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কায় প্রশাসন ফাঁড়িটি বন্ধ করে দেয় এবং পরে সেনা মোতায়েন করা হয়।

এদিকে ঘটনার পর পুলিশ সুপার মো. এহতেশামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, গতকাল সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর)এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর