বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুনর্লিখন নয়, সংবিধান সংশোধনের পক্ষে মত বিশিষ্টজনদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৪৯

মাহ্‌ফুজ আনাম বলেন, ‘একটি বক্তব্য এসেছে- আমরা কি নতুনভাবে সংবিধান লিখব, নাকি সংশোধন করব। আমার মতে আগেরটা সংশোধন করাই বাঞ্ছনীয়। কেননা আগেরটির মধ্যে অনেক মূল্যবান বক্তব্য আছে। ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি আছে। আরও গণতান্ত্রিক করা, আরও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সরকার না আসে, যারা সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পারে- সেজন্য এটির সংশোধন দরকার।’

সংবিধান পুনর্লিখন না করে সংশোধন চেয়েছেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শনিবার আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক শাসনে উত্তরণের জন্য সাংবিধানিক সংস্কার’ শীর্ষক পরামর্শমূলক সেমিনারে এমন মতামত উঠে এসেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পলিসি স্টাডিজ (বিআইপিএস) আয়োজিত এই সেমিনারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আইনজীবী, সংবাদপত্রের সম্পাদক, আইনের শিক্ষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।

সেমিনারে মূল বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল যাতে বেহাত না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘শাসনতন্ত্রের সংস্কার বলেন, পুনর্লিখন বলেন- যা-ই বলেন না কেন এটির অধিকার কার? অধিকার তাদেরই, যারা এই পরিবর্তন (সরকার পরিবর্তন) এনেছে।’

সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এই বিচারপতি বলেন, “স্বীকৃত বা মীমাংসিত বিষয়গুলোতে মনে হয় হাত দেয়া ঠিক হবে না। যেমন ‘রিপাবলিক’। এগুলো বিদ্যমান রেখে এখান থেকে আরম্ভ করতে হবে।”

যেগুলো না করলেই নয় সেগুলো সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগকে মেরামত করা; এগুলোতে হাত দিতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসাইন বলেন, ‘এত সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন হলো, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেলাম। পরবর্তী সময়ে কী পেলাম? ফল শূন্য। এই ছাত্র-জনতা এগিয়ে না এলে যে গর্তে পড়ে ছিলাম, সেখানেই থাকতে হতো।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমাদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেন দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম।

তিনি বলেন, ‘একটি বক্তব্য এসেছে- আমরা কি নতুনভাবে সংবিধান লিখব, নাকি আগেরটি সংশোধন করব। আমার মত হচ্ছে, আগেরটা সংশোধন করাই বাঞ্ছনীয়। কেননা, আগেরটির মধ্যে অনেক মূল্যবান বক্তব্য আছে। ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি আছে। আরও গণতান্ত্রিক করা, আরও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সরকার না আসে, যারা সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পারে- সেজন্য এটির সংশোধন দরকার।’

কী কী সংশোধন করা যায় সে বিষয়ে মত ব্যক্ত করতে গিয়ে মাহফুজ আনাম নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরণের (সেপারেশন অফ পাওয়ার) ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে খর্ব হয়েছিল। আইন বিভাগ স্বাধীন দায়িত্ব পালন করেনি। সেটি ক্ষমতাসীন দলের ‘রাবার স্ট্যাম্প’ হিসেবে কাজ করেছে। সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়ে গিয়েছিল নির্বাহী বিভাগের কাছে। সেটির পরিবর্তন অবশ্যই করতে হবে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা উচিত বলেও মত দেন এই বর্ষীয়াণ সাংবাদিক।

সভায় আরও বক্তব্য দেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পলিসি স্টাডিজের সভাপতি সি এ এফ দৌলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম কুমার দাস, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর