সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন শুনানিতে দুই পক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলে বুধবার এজলাস ছেড়েছেন বিচারক।
বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানিতে এ ঘটনা ঘটে।
জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এজলাসে ওঠার পরপরই দুই পক্ষের হট্টগোল শুরু হয়। এমন ঘটনার পর এজলাস ছাড়েন বিচারক। পরে বেলা আড়াইটায় শুনানির সময় নির্ধারণ হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শেরেনুর আলী বলেন, ‘বিচারক এজলাসে আসার পরে দুই পক্ষে হট্টগোল হয়েছে। আমরা বলেছি, এই মামলাটা এই আদালতে অস্বাভাবিকভাবে আনা হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা বাদীপক্ষ জানি না।
‘এ নিয়ে আজকে শুনানি করতে চাই না। অন্যান্য মামলার মতো এই মামলার শুনানির তারিখ পরবর্তী সময়ে দেয়ার জন্য আদালতকে বলেছি আমরা, কিন্তু আদালত আমাদের কথা শুনতে চাননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামিপক্ষ শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য তোড়জোর করেছে। এটি নিয়ে হট্টগোল হয়েছে। পরে আদালত এজলাস থেকে নেমে গেছেন।’
শুনানিতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরদের (এপিপি) ভূমিকা কী ছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পিপি, এপিপিরা রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে থাকার কথা। তারা আসামিপক্ষে থেকেছেন। নিম্ন আদালতেও এ বিষয় নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি।
‘আজকেও করেছি। এই পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জে বিচার কার্যক্রম আগামীতে আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।’
বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী মল্লিক মইনউদ্দিন সোহেল বলেন, ‘কোনো আইনজীবীর সাবমিশন ছাড়া অ্যাডমিশনটা অস্বাভাবিক। এতে আদালতকে নিয়েও প্রশ্নের উদ্রেক হয়।
‘আমরা মনে করছি এই অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জামিন শুনানি অস্বাভাবিকই হবে। এমন আশঙ্কা রয়েছে।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার মামলার অ্যাডমিশন হয়েছে। আজকে শুনানির জন্য ধার্য তারিখ দেয়া হয়। এভাবে এই আদালতে এর আগে বহুবার হয়েছে।’