পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা।
খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই শিক্ষককে মঙ্গলবার সকালে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে জেলা শহরে বাঙালিদের সঙ্গে পাহাড়িদের সংঘর্ষ হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি পৌর ও সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
ওই কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের লোকজন শিক্ষক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সোহেল রানার ওপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।’
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোজলিন শহীদ চৌধুরী এ বিষয়ে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সেখানে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে এবং ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে ওই হত্যা-সংঘর্ষের ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
দুই পক্ষই পৃথক মিছিল বের করে। সদরের মহাজনপাড়ার কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। একটি বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন।