চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর রাউজানের গহিরার গ্রামের বাড়ি ও বন্দর নগরীর খুলশীর বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে গহিরার বাড়ি থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাউজান থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বলেন, গহিরা গ্রামে ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়ির আলমারিতে থাকা একটি পয়েন্ট টুটু বোরের পিস্তল, একটি এলজি, একটি রিভলবার, একটি শটগান ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
রাউজান থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, গহিরা এলাকায় থাকা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বাড়ির কেয়ারটেকার সঙ্গে ছিলেন বলেও জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্রের মধ্যে শুধু পিস্তলটির লাইসেন্স ছিল। বাকি অস্ত্রগুলো অবৈধ। সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বৈধ অস্ত্র জমা না দেয়ায় সেটিও অবৈধ হয়ে যায়।
১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে এ বি এম ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে বিজিবি জানিয়েছে।
রাউজানে মুনিরীয়া যুব তবলিগ কমিটির ইবাদতখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দুই মামলা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানার দুই মামলা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক নুরুল আলম হত্যার ঘটনায় চকবাজার থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে ১০টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য তাকে ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে আনা হয়। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়।
ফজলে করিমকে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় লোকজন ডিম ছুড়ে মারে। এ সময় তার ফাঁসির দাবিতে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। রাউজান থানার এক মামলায় ফজলে করিমকে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।